বাড়তি দামে আটকে আছে নিত্যপণ্যের বাজার
বাড়তি দামে আটকে আছে নিত্যপণ্যের বাজার। মাছ-মাংসের বাজারে দামে অসস্তি। এদিকে, বাজারে সবকিছুর বাড়তি দামের বিষয়ে বরাবরের মতোই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সেই পুরোনো অজুহাত হিসেবে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ার কারণ বলছে বিক্রেতারা।
শুক্রবার (২৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মাছ মাংসের দামে হাহাকার বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। গরুর মাংস আগের বাড়তি দামেই প্রতি কেজি ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ ব্রয়লার থেকে শুরু করে সব ধরনের মুরগির দাম অতিরিক্ত বেশি। কিন্তু বাজার মনিটরিংয়ের কোনও কার্যক্রম দেখছি না। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গরু-খাসির মাংস তো স্পর্শ করতে পারি না। মাংসের চাহিদা সাধারণ মানুষ মেটায় ব্রয়লার মুরগি দিয়ে। কিন্তু সেই ব্রয়লার মুরগিও ২১০ থেকে ২২০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ও লেয়ার মুরগির দাম আরও দেড়শ টাকা বেশি। তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ এত দাম দিয়ে কিনব কীভাবে? এসব মুরগির দাম যে বেড়েছে, আর কমার কোনো নামই নেই।
এদিকে, বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। এর মধ্যে রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বড় রুই ৪০০ টাকায়, পাঙাশ ২৩০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, চাষের কই ২৮০ টাকায়, কাতল ৩৫০ টাকায়, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকায়, টেংরা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, বড় শিং ৫৫০ টাকায়, ছোট শিং ৪০০ টাকায়, বড় বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও বড় আইড় মাছ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলেন, মাছের দাম এত বাড়তি যে, চাষের মাছও কেনা যায় না। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ পাঙাশ, তেলাপিয়া, চাষের কই ও রুই কোনোভাবে কিনছিলাম। কিন্তু এখন এসব মাছের দামও অতিরিক্ত বেশি। পাঙাস মাছ তো ২৩০ টাকা কেজি, চাষের কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। ভালো মানের মাছ তো কিনতেই পারি না, সেগুলোর দাম আকাশ ছোঁয়া। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন কাটা পাঙাশ মাছ কিনলাম।
এদিকে সবজির বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিছের দাম ৫০ টাকা। পটল পাওয়া যাচ্ছে ৪০ করে কেজি। সেই সাথে লাউ প্রতি পিছ ৫০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা,জালি কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি এবং ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা কেজি।