চট্টগ্রামসন্দ্বীপ

‘প্রাণে বাঁচতে’ আশ্রয়কেন্দ্রে ৯ সহস্রাধিক নারী-পুরুষ, বেশি সন্দ্বীপে

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে ‘প্রাণে বাঁচতে’ চট্টগ্রামের উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার মানুষ তাদের সহায়-সম্বল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। শনিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সন্দ্বীপের মানুষই বেশি আশ্রয় নিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রবিবার (২৬ মে) দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয়ের জন্য খোলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্বরত উচ্চমান সহকারী হাসিবুল হাসান সিভয়েস২৪কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে প্রস্তুত রাখা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শনিবার রাত থেকে এখন দুপুর ১টা পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৫৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন সন্দ্বীপে।’ তবে কতজন মানুষ এ মুহূর্তে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ১০৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে ১১৪০টি বিদ্যালয় ও নয়টি মুজিব কেল্লা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলা সিভিল সার্জন ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, আর্বান ডিসপেন্সারি ৯টি এবং ৫টি জেনারেল হাসপাতালসহ মোট ২৯৫টি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। মজুত রাখা হয়েছে পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য প্রায় তিন লাখ ট্যাবলেট ও চার লাখ খাবার স্যালাইন।

সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বর্ষণ ও পূর্ণিমার কারণে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা থাকায় উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d