চট্টগ্রামে সাবেক পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মেয়র থাকাকালীন অসাধু উপায়ে পৌরসভার তহবিল থেকে এ টাকা তিনি হাতিয়ে নেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত সেলিমুল হক চৌধুরী বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব মিয়া বাড়ির রুহুল্লা পাড়ার মৃত জহিরুল হক চৌধুরীর ছেলে।
দুদক জানায়, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর বাঁশখালীর পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতা অপব্যবহার, বিভিন্ন কাজের নামে অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২। ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক কমিশন বরাবরে।
২০১৬ সালের ১৯ জুলাই বাঁশখালী পৌরসভার সামনে নিয়ম মেনে চারটি দোকান বরাদ্দ দিলেও পরবর্তীতে সেখানে পৌরসভার অর্থায়নে নির্মিত আরও চারটি দোকান বরাদ্দ প্রদান করেন। কোনো ধরনের নিয়ম না মেনে ওই দোকানগুলো বরাদ্দ দেন সেলিমুল হক চৌধুরী। ওই চারটি দোকান থেকে অগ্রিম বাবদ আদায় করেন ৯ লাখ টাকা। ওই টাকা পৌরসভার তহবিলে জমা দেননি সাবেক ওই মেয়র।
দুদক আরও জানায়, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রামের বাঁশখালী শাখা ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গ্যাস প্রকল্পের টাকা ও অন্যান্য টাকা সহ মোট ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৩৬ টাকা জমা হয়। ব্যাংকের ওই হিসাব থেকে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উত্তোলন ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৮ দশমিক ৬৫ টাকা। ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই পৌরসভার হিসাবরক্ষক নিকটে লিখিত দিয়ে তার কাছ থেকে ব্যাংকের চেক বই জিম্মায় গ্রহণ করেন সেলিমুল হক চৌধুরী। যেদিন চেক বই জিম্মায় নিয়েছিলেন ওইদিনই অনুমোদন ছাড়াই পৌরসভার ব্যাংক হিসাব থেকে ৭ লাখ টাকা উঠিয়ে নেন সাবেক মেয়র। পরে ওই ৭ লাখ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দন্ডবিধি ৪২০, ৪০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর উপপরিচালক (ডিডি) মো. আতিকুল আলম।