লোহাগাড়ায় দুই প্রার্থীর ৩০ অভিযোগ
লোহাগাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমেছে অভিযোগের পাহাড়। পান থেকে চুন খসলেই নিস্তার নেই প্রতিপক্ষের।
প্রচারণা শুরুর পর থেকে গত ১৫ দিনে জমা পড়েছে ৩০টি অভিযোগ। যার সবকটিই ছিল মূলত দুই প্রার্থীর দেওয়া।
জানা গেছে, গত ২০ মে থেকে প্রচারণা শুরু হয় চতুর্থ দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের। এ নির্বাচনে লোহাগাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিন প্রার্থী। এর মধ্যে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আনারস প্রতীক নিয়ে খোরশেদ আলম চৌধুরী এবং মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আবদুল মাবুদ সৈয়দ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচনে আবদুল মাবুদ সৈয়দের কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলেও বাকি দুই প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ও খোরশেদ আলম একে অপরের বিরুদ্ধে দিয়েছেন প্রায় ৩০টি অভিযোগ।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২ জুন) পর্যন্ত আনারস প্রতীকের প্রার্থী খোরশেদ আলম দিয়েছেন ১৪টি অভিযোগ এবং ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম দিয়েছেন ১৩টি অভিযোগ। এছাড়া সর্বশেষ সোমবারও (৩ জুন) প্রচারণার শেষ দিনেও জমা পড়েছে এই দুই প্রার্থীর আরও তিনটি অভিযোগ। এর মধ্যে সিরাজুল ইসলামের দেওয়া সর্বশেষ অভিযোগে, প্রার্থী খোরশেদুল আলমের প্রার্থীতা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইনামুল হাসান বলেন, তিন প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীই একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে উভয় প্রার্থীর। প্রচারণা শেষ হতে এখনও কিছু সময় বাকি আছে। সময় শেষ হলে বলতে পারবো মোট কতগুলো অভিযোগ পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীরা যেসব অভিযোগ দিচ্ছেন তার বেশিরভাগ অভিযোগই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে গতকালও এক প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।