ধর্ম

যাদের ওপর হজ ফরজ

হজ আরবি শব্দ, যার অর্থ সংকল্প করা। হজ হলো নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে বায়তুল্লাহ শরিফ জেয়ারত করা অথবা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে বায়তুল্লাহ যাওয়ার সংকল্প করা। (ফতোয়ায়ে শামি, ২/৪৫৪)

হজ ইসলামি শরিয়তের অন্যতম স্তম্ভ ও রোকন। আর্থিক ও দৈহিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।

যাদের ওপর হজ ফরজ

পাঁচটি শর্তসাপেক্ষে হজ ফরজ—

১. মুসলমান হওয়া।

২. আকল থাকা বা বিবেকবান হওয়া অর্থাৎ পাগল না হওয়া।

৩. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।

৪. স্বাধীন হওয়া অর্থাৎ কারও গোলাম না হওয়া।

৫. দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া।

তবে নারীদের ক্ষেত্রে সঙ্গে মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ) থাকা। স্মরণ রাখতে হবে, জাকাত ফরজ না হয়েও কারও ওপর হজ ফরজ হতে পারে। কেননা, হজ ও জাকাতের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। যেমন—জাকাতের সম্পর্ক নির্ধারিত নেসাবের সঙ্গে। হজের সম্পর্ক মক্কায় আসা-যাওয়ার খরচের সঙ্গে। সুতরাং স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে কেউ যদি হজ আদায় করতে সক্ষম হয় এবং হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ। (আহসানুল ফাতাওয়া, ৪/৫১৬)

একইভাবে ব্যবসায়ীর দোকানে যে পরিমাণ পণ্য আছে, তার কিছু অংশ বিক্রি করলে যদি হজ করা সম্ভব হয় এবং ফিরে এসে যদি বাকি পণ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম, ২/১৫৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d