খেলা

ভারত-পাকিস্তান মহারণ আগামীকাল

কাল মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সুপার সানডের বিগ ম্যাচে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারনাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাত সাড়ে ৮টায় মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। শক্তি, সামর্থ্য, পরিসংখ্যান সবকিছুর বিবেচনায় এই ম্যাচে ভারতই ফেভারিট। ম্যাচটি হারলে সুপার এইট খেলা ঝুঁকিতে পড়বে পাকিস্তানের।

চলতি আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তো বটেই আসরের অন্যতম ফেভারিট ভারত। আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ভারত সব বিভাগেই আছে দারুণ ছন্দে। তাদের বর্তমান বোলিং লাইনও বিশ্বের অন্যতম সেরা। আর ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার মতো রোহিত, কোহলি, রিশভ পন্থ, সুরিয়া কুমার ইয়াদাভ, শিভম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো তারকারা রয়েছেন দলে।

অপরদিকে, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুপার ওভারে হেরে বসেছে সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। তাই সুপার এইটে যাওয়ার জন্য ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাবর আজমদের জয় খুবই জরুরি। যদি পরিসংখ্যানে ভারতের চেয়ে বেশ পিছিয়ে পাকিস্তান। অতীতের ১২ দেখাতে ভারত জিতেছে ৯ ম্যাচ, বিপরীতে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। যদিও ক্রিকেটে পরিসংখ্যান সবসময় কাজে আসে না।

তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইন্ডিয়ার যে একক আধিপত্য তা কিন্তু নেই টি টোয়েন্টিতে। ২০২১ বিশ্বকাপে ভারতকে প্রথমবার বিশ্বমঞ্চে হারায় পাকিস্তান। সেবার বাবর আজম ও রিজওয়ানের ব্যাটে ১০ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষের তিন জয়ের সবশেষটি এসেছে ২০২২ এশিয়া কাপে। এই দুই জয় নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাসী করবে পাকিস্তানকে। ভারতকে হারাতে হলে জ্বলে উঠতে হবে পাকিস্তানের ‘মূল অস্ত্র’- বোলিং ইউনিটকে। শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, হারিস রউফরা সেরাটা দিতে পারলে ভারতের রানের লাগামটা টেনে ধরা সম্ভব।

দুই দলের বোলিং শক্তি অনেকটাই কাছাকাছি। ভারত দলে বুমরাহ, সিরাজ, আর্শদিপদের সাথে আছেন জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ জাদবের মতো স্পিনার। তিন ডিপার্টমেন্টের মধ্যে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের চেয়ে ঢের এগিয়ে ভারত। ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান অনেকটা সাধারণ মানের। দুই দলের ব্যাটিং তুলনা করলেও এগিয়ে ভারত। বাবর রিজওয়ানরা নিয়মিত রান পেলেও প্রশ্ন রয়েছে স্ট্রাইক রেট নিয়ে।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ এই ম্যাচের জন্য টিকিটের মূল্যও ছিল আকাশচুম্বী। সবচেয়ে বেশি যে টিকিটের দাম, সেটির মূল্য ছিল ১০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ লাখ টাকা। আর সর্বনিম্ন টিকিটের মূল্য তিনশ ডলার, সেটাও প্রায় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d