খেলা

বাংলাদেশকে সুপার এইটে দেখছেন সুজন

সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ভুলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে করেছে বাংলাদেশ। ফলে এখন তাদের সামনে হাতছানি দিচ্ছে সুপার এইটে ওঠার সুযোগ। দেশ ছাড়ার আগেই বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দুজনেই বলেছিলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার এইট) খেলার লক্ষ্যের কথা। যদিও এরপর তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজে হেরে ব্যাকফুটে চলে যায়। সে অবস্থায় লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়টা আশা জোগাচ্ছে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজকেও।

গতকাল (শনিবার) মিরপুরে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ‘জয় তো জয়ই। টেবিলের তিন নম্বরে আছি, এক ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে। তবে যদি আপনি যদি বলেন…তৃপ্তির জয় না। অবশ্যই এর চেয়ে ভালোভাবে পার হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল আমাদের। সেই দলই আমরা, এর চেয়েও ভালো দল। আমি মনে করি ১২৫ রান অতিক্রম করতে গিয়ে আমাদের এতো কষ্ট করা দরকার ছিল না।’

তবুও টাইগারদের জয়টাকেই বড় স্বস্তি হিসেবে দেখছেন সুজন, ‘যেহেতু আমরা একটু চাপে ছিলাম। আমেরিকার সঙ্গে দুটি ম্যাচ হারলাম, ভারতের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচটাও শেষ করতে পারিনি (জয় দিয়ে)। অবশ্যই আমাদের ব্যাটিং গ্রুপ একটু চাপে ছিল। লিটন, সৌম্য, শান্তকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। চাপে ছিল যে এটা ওদের চেহারা দেখেই বুঝেছি, অনেক চাপে ছিল। তারপরও যে স্বস্তির জয়টি এসেছে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

এখান থেকেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে সুপার এইটে খেলবে বলে বিশ্বাস সাবেক এই অধিনায়কের, ‘এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর টনিক হিসেবে কাজ করবে। যদিও পরের ম্যাচ সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে। নিউইয়র্কের উইকেটে খেলা হবে। সেখানকার উইকেটে আমি খেলা দেখেছি সাউথ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার।’

নিউইয়র্কের নাসাউতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভারতের সঙ্গে। ভারতীয়রা মোটামুটি সাবলীল ব্যাটিং করলেও, নড়বড়ে ছিল নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটিং। এ ছাড়া ওই পিচে পরাশক্তি দলগুলোকেও বেশ ভুগতে হচ্ছে। তবুও সেই উইকেটে ভালো খেলার প্রত্যাশা সুজনের, ‘সেটা কঠিন উইকেট। ব্যাটাররা কীভাবে খেলে দেখতে হবে। এরপর নেদারল্যান্ডস আর নেপালের সাথে জিতলে আমরা হয়ত সুপার এইটে যাব। আশা করি এখান থেকে ভালোভাবে ফিরে আসব। বাকি তিনটা ম্যাচ আমরা ঠিকমতো শেষ করব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d