‘মিস এআই’ সুন্দরী প্রতিযোগিতা, সেরা দশে বাংলাদেশের এলিজা খান
বিশ্বে প্রথমবারের মতো এআই কনটেন্টনির্ভর ওয়েবসাইট ফ্যানভ্যু আয়োজন করেছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস এআই’। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি এআই সুন্দরীদের নাম নিবন্ধন করেছে।
এ প্রতিযোগিতায় ‘মিস এআই’ নির্বাচিত হতে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৫০০ প্রতিযোগীর নাম জমা পড়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০টি এআই সুন্দরীর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা সামনে এসেছে। এ তালিকা থেকে শীর্ষ তিনটি এআইকে সেরা সুন্দরীর তালিকায় রাখা হবে।
শীর্ষ ১০-এর মধ্যে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খানও। এছাড়া আরও রয়েছে কেনজা লাইলি (মরক্কো), আলিয়া লু (জাপান), অলিভিয়া সি (পর্তুগাল), অ্যান কারডি (ফ্রান্স), জারা শতাভারি (ভারত), আয়ানা রেইনবো (রোমানিয়া), লালিনা (ফ্রান্স), সেরেন আই (তুরস্ক) ও আসেনা ইলিক (তুরস্ক)।
এতে এআই সেরা সুন্দরী হিসেবে বিবেচিত হবে, তাকে ২০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। এই পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে ফ্যানভু ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস (ডব্লিউএআইসিএ)।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সুন্দরীদের তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হচ্ছে। সেগুলো হলো সৌন্দর্য, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক—ইত্যাদি দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেখা হবে ক্রিয়েটরের দক্ষতা এবং কোন টুলের মাধ্যমে ক্রিয়েটর এ মডেল বানিয়েছেন।
‘মিস এআই’ প্রতিযোগিতার আয়োজকদের একজন ফ্যানভ্যুর সহপ্রতিষ্ঠাতা উইল মোনানাজ প্রতিযোগিতাটি নিয়ে বলেন, বিশ্বজুড়ে এইআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই প্রতিযোগিতা এআই প্রযুক্তি খাতে অস্কারের সমমর্যাদা পাবে। এই এআই সুন্দরীদের নির্বাচন করেছে বিশেষ বিচারক প্যানেল। এই প্রতিযোগিতায় বিচারকদের মধ্যে দুজন মানুষ এবং দুজন এআই ইনফ্লুয়েন্সার।