অলিম্পিক খেলবেন না মেসি, শেষ করতে চান মায়ামিতেই
আগের মতো এখন আর খুব একটা চাপ নিয়ে খেলেন না লিওনেল মেসি। তার প্রতি ভক্তদের তেমন কোনো প্রত্যাশাও আর নেই।
কেননা সবকিছুই যে অর্জন করে ফেলেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড তাই এখন লিখে যাচ্ছেন ‘শেষের কবিতা’।
অবসর কবে নেবেন সেটা নিয়ে অবশ্য কিছুই খোলাখুলি বলেননি। তবে শেষটা বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতেই করতে চান মেসি। ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ইঙ্গিতই দিলেন তিনি।
মেসি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটাই (ইন্টার মায়ামি) আমার শেষ ক্লাব হতে চলেছে। যদিও ফুটবলকে বিদায় বলে দিতে আমি প্রস্তুত নই। অবসর নিয়ে চিন্তা করি না আমি। নিজেকে উপভোগের চেষ্টা করি এবং এ কারণে আমি সব কিছু আরো বেশি করে উপভোগ করতে পারছি। কেননা, চলার পথটা যে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে, সে বিষয়ে সচেতন আমি। ‘
‘ইউরোপ থেকে এখানে আসা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলেও ভিন্নভাবে দেখতে পেরেছিলাম। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি। অনুশীলন উপভোগ করি, জীবনের প্রতিটি দিন, ম্যাচগুলো। আবার ভয়ও পাই, কারণ এটা থেমে যাবে ভেবে। ’
মেসি এখন কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর পরপরই শুরু হবে অলিম্পিক। সেখানে তাকে খেলাতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা যুব দলের কোচ হাভিয়ের মাচেরানো। কিন্তু মেসি জানিয়ে দিলেন তা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ,’মাচেরানোর সঙ্গে কথা বলেছি এবং সত্যিটা হলো আমরা দুজনই পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছি। এই মুহূর্তে অলিম্পিক নিয়ে ভাবা কঠিন কাজ, কারণ আমরা এখন কোপা আমেরিকা নিয়ে ভাবছি। এটা হলে দুই বা তিন মাস ক্লাব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকব। আর সবার উপরে আমার বয়স। এখন যে অবস্তায় আছি এমন না যে, সব কিছুতে থাকতে পারব। ‘
‘আমাকে সতর্কতার সঙ্গে বেছে নিতে হবে। টানা দুটি টুর্নামেন্টে খেলা খুব কঠিন হবে। অলিম্পিকে খেলতে পারা ও জেতা আমার জন্য সৌভাগ্যের হবে। ফুটবলের দিক থেকে এটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা হবে। অলিম্পিক, অনূর্ধ্ব-২০, এই স্মৃতিগুলো আমি কখনো ভুলব না। ‘
সম্প্রতি মেসির সাবেক সতীর্থ ও ফ্রান্সের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে জানান, বিশ্বকাপের চেয়ে ইউরো বেশ কঠিন টুর্নামেন্ট। তার এমন মন্তব্যের কড়া জবাবই দিলেন মেসি।
তিনি বলেন, ‘ইউরো অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। কিন্তু সেখানে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে, পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে ও দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে বাদ দিয়ে খেলা হয়। এতগুলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে বাদ দিয়ে খেলার পরেও আপনি বলছেন ইউরো সবচেয়ে কঠিন, তাই না? বিশ্বকাপে সেরা দলগুলোই খেলে। সাধারণত সব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাই সেখানে থাকে। এ কারণেই সবাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। ’