হজে গিয়ে জ্ঞান হারানো অনেকেই পড়ে ছিলেন চিকিৎসা ছাড়া
হজ করতে গিয়ে এবার তাপপ্রবাহ ও অতিরিক্ত গরমে ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সৌদির পক্ষ থেকে দেওয়া আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়েছে এ তথ্য।
তবে দেশটির একটি নিরাপত্তা সূত্র মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, এই সংখ্যা তিন থেকে চারগুণ বেশি হতে পারে। অর্থাৎ সৌদি আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যুর কথা বললেও; আসল সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৫ হাজার।
সৌদির সরকার আরও জানিয়েছে অতিরিক্ত গরমে যারা মারা গেছেন তাদের সবাই অনুমতি ছাড়া হজ করতে গিয়েছিলেন।
তবে অনুমতিপ্রাপ্ত ও অনুমতিবিহীন হজযাত্রী উভয়ই জানিয়েছে, এবারের হজের ব্যবস্থাপনা খারাপ ছিল। তারা আরও জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত বাস না থাকায় তাদের প্রখর সূর্যের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা হাঁটতে হয়েছে। আর হাঁটতে গিয়েই সবচেয়ে বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।
করিম নামের মিসরের এক হজযাত্রী, যার হজের অনুমতি ছিল না, তিনি মিডেল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, হজযাত্রীর সংখ্যা এতই বেশি ছিল যে কর্তৃপক্ষ সবাইকে গরম থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এবার এসি সমৃদ্ধ অবকাঠামোর অনেক অভাব ছিল।
এই হজযাত্রী আরও জানিয়েছেন, যারা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন তারা বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, নিরাপত্তাবাহিনী ছিল অসহায়। তাদের যা করার ছিল তা হলো— গরমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর পানি ছিটানো। আর যারা জ্ঞান হারিয়েছিলেন তাদের ফেলে চলে গেছে তারা। কারন জ্ঞান হারানো মানুষ অনেক ছিল।”
প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালের আগস্টে তাপজনিত কারণে এত হজযাত্রীকে হতাহত হতে দেখা গিয়েছিল। সে বছর হজ করতে গিয়ে গরমে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ১২ জন। এরপর এ বছরের আগে এ ধরনের ঘটনা আর দেখা যায়নি।
এদিকে এ বছর হজ করেছেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ। এবার হজ করা অনেক হজযাত্রী অভিযোগ করেছেন, মুজদালিফায় যাওয়ার পর তারা পানির অভাবে পড়েছিলেন। সেখানে গিয়ে পানির জন্য অনেককে ছটফট করতে হয়েছে।