উচ্ছেদের আগে উধাও বংশীয় গরু!
বছরজুড়ে খুব একটা আলোচনায় না থাকলেও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে সরগরম থাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহ ইমরান হোসেনের সাদিক এগ্রো। তবে এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকা ছাগলের দাম হাঁকিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ইমরানকে। এবার নতুন করে চাপে পড়েছেন এই ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে খালের জমি দখল করে গরুর খামার করে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করলেও উত্তর সিটি করপোরেশন তার প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে দিচ্ছে। তবে আগে থেকে উচ্ছেদের কথা প্রকাশ পাওয়ায় বংশীয় গরুসহ বেশিরভাগ পশু আগেভাগে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও আলোচিত সেই ছাগলসহ আরও কিছু পশু উচ্ছেদের সময়ও সাদিক এ্যাগ্রোতে দেখা গেছে।
তবে প্রভাবশালী এই গরু ব্যবসায়ীকে অভিযানের আশপাশেও দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন তাও জানা যায়নি। গত ঈদের আগে থেকে প্রতিনিয়ত গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকা ইমরান উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো কথাও বলেননি।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এখানে খামার গড়ে তোলা ইমরানের কোনো লোকজন উচ্ছেদে বাধাও দেয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঘোষিত সময়ের বেশ পরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিংয়ে রামচন্দ্রপুর খামার দখল করে গড়ে ওঠা এই খামারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সকাল সাড়ে ১০টায় খামারটিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর কথা থাকলেও ১২টার পরে শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, উচ্ছেদের খবরে বুধবার রাতেই খামারের বেশিরভাগ গরু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি গরু খামারে দেখা গেলেও, কোটি টাকার বংশী ব্রাহমা গরুটি দেখা যায়নি। খামারের একটি খাঁচায় ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো ব্রিটল জাতের ছাগলটি দেখা গেছে।
খামারের কর্মীরা জানিয়েছেন, ব্রাহমা জাতের গরুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোথায় সরানো হয়েছে তারা জানেন না।
দেখা গেছে, রামচন্দ্রপুর খালের একাংশে মাটি ভরাট করে খামার গড়েছেন সাদিক এগ্রোর ইমরান হোসেন। সেগুলো সব উচ্ছেদ করে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এ তথ্য জানান।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে একটি পেলোডার, একটি হুইল এক্সক্যাভেটর, তিনটি বেক-হো লোডার নিয়ে হাজির হন সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।