সাদিক অ্যাগ্রোতে দুদক, মিলল ব্রাহমা জাতের গরু
কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ খামারের পর সাভারে সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খামারটিতে ব্রাহমা জাতের ৩টি গাভি ও ব্রাহমা জাতের মতো ৭টি বাছুরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এসব গরু-বাছুর ব্রাহমা জাতের কি না, তা নিশ্চিত হতে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সোমবার (১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙাব্রিজ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। এ সময় আলোচিত ১৫ লাখ টাকার ছাগলটিও দেখা যায় সেখানে। এর আগে সাভারের গো-প্রজনন কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙাব্রিজ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, একটি শেডে রাখা হয়েছে তিনটি ব্রাহমা জাতের গাভি ও সাতটি ব্রাহমা জাত সদৃশ বাছুর। এছাড়া একটি কাপড় দিয়ে ঘেরা ঘরের ভেতর রাখা হয়েছে ১৫ লাখ টাকার আলোচিত ছাগলটি।
খামারটির দেখাশোনার দায়িত্ব থাকা জাহিদ বলেন, সকাল থেকে খামারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিযুক্ত করা হয়েছে নিরাপত্তাকর্মী। এর আগে এখানে কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না। খামারটিতে বর্তমানে ২৫০টি গরু রয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাদিক অ্যাগ্রোতে আমরা তিনটি ব্রাহমা জাতের গাভি ও সাতটি ব্রাহমা জাতের বাছুরের মতো বাছুর দেখতে পেয়েছি। গরুগুলো আমরা সাভারের গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে আসলেই ব্রাহমা জাতের কি না। আমরা কিছু নথি-পত্র পেয়েছি, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ হওয়ায় গরুগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে সাদিক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে সাভারের গো-প্রজনন কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করে দুদক।