কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
কোটা আন্দোলনের নামে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও বিএনপি চক্র দেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তার প্রতিবাদে মুরাদপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) মুরাদপুর সিরাজ শপিং কমপ্লেক্স চত্বরে নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুলের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, শফিক আদনান, মশিউর রহমান, চন্দন ধর, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, দেবাশীষ নাথ দেবু, আজিজুর রহমান আজিজ, এমআর আজিম, মো. সালাউদ্দিন, কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, মো. মোবারক আলী, নুরুল আলম মিয়া, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, মো. ইসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, এরশাদুল আলম বাচ্চু, মো. ইলিয়াছ, নুরুল আজিম রনি, তোসাদ্দেক নুর চৌধুরী তপু প্রমুখ।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
একটি অশুভ শক্তি বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষের সঙ্গে লড়াই করে অতীতে সফল হতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। সাধারণ ছাত্র সমাজ নিরীহ উচ্ছৃঙ্খল নয়, এদের সামনে রেখে জামায়াত শিবির চক্র মাঠে নেমেছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মীরা ধৈর্য ধারণ করে আছি এবং সজাগ দৃষ্টি রাখছি কখন স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে তখনই আমরা এর মোকাবেলা করবো।
মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-ছাত্রীদের ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন বলেই পিতা-মাতা-ভাই হারিয়েও বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে শত বিপদের মধ্যে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে বার বার হত্যা করতে চেয়েছিলো আল্লাহর রহমতে বাংলার মানুষের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এখনো বেঁচে আছেন। ভবিষ্যতেও নেতৃত্ব দেবেন। তিনিই সিদ্ধান্ত দেবেন কখন কী করতে হবে। তার সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো কিছুতে এগিয়ে যাবো না। আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি আমাদের ভাইদের যারা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ছয় তলা থেকে ফেলে দিয়েছে, রগ কেটে দিয়েছে, মাথার খুলি বের করে দিয়েছে। এরা কারা এদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে।
সভা শেষে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী শত শত নেতাকর্মী নিয়ে মুরাদপুর থেকে ওয়াসা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদ মাঠে নিহত ছাত্রলীগ কর্মীদের গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন।