আর্জেন্টিনার অভিযোগে ফিফার নাকচ
অলিম্পিকে বিতর্কিত এক ম্যাচে হার দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার শুরু। যদিও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাককে ৩-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে তারা অলিম্পিকে টিকে রয়েছে। তবে আসরের প্রথম ম্যাচেই মরক্কোর বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের দিন তারা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। এমন পরিস্থিতি নিয়ে ফিফায় নালিশ করেছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। কিন্তু সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ফিফা।
শনিবার (২৭ জুলাই) ইরাকের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামার আগেই এই তথ্য জানিয়েছেন এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)–এ ক্লদিও তাপিয়া জানিয়েছেন, “মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে আর্জেন্টিনার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিশন। নিজেদের অধিকার রক্ষায় এএফএ জানতে চাইবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো এবং আপিল করার সুযোগ থাকা নিয়ে ভাবছি।”
এর আগে আর্জেন্টিনা-মরক্কো ম্যাচে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সোফিয়ানে রাহিমির গোলে ২-০ গোলের লিড পেয়ে যায় আফ্রিকান দলটি। সেখান থেকে অবশ্য পরবর্তীতে ম্যাচে ফেরে আর্জেন্টিনা। দুই দলের খেলা ২-২ গোলে ড্র ধরে নিয়েছিলেন সবাই। গণমাধ্যম কর্মীরাও এটাকেই ধরে নিয়েছিলেন ম্যাচের ফল। তবে এখানেও ছিল নাটক। ম্যাচ ভেন্যু সেইন্ট এতিয়েনের মাঠের ম্যানেজার জানালেন, ম্যাচ শেষ হয়নি। বাকি আছে ত্রিশ সেকেন্ডের খেলা।
শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনার গোলের পর মরক্কোর ভক্ত মাঠে নেমেছিলেন। বাজি ছুঁড়ে মারা হয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের দিকে। ফুটবলে পিচ ইনভেশন বা মাঠে ভক্তদের ঢুকে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে এরজন্য ম্যাচ থামিয়ে দেওয়ার ঘটনা বিরল। তবে অলিম্পিকে মরক্কো এবং আর্জেন্টিনা ম্যাচে তাই ঘটে। খেলা বন্ধ থাকে। এরপরই ঘটে অবিশ্বাস্য ঘটনাটি। খেলা শেষের দেড়ঘণ্টা পর জানানো হয়, অফসাইডে বাতিল হয়েছে সেই গোল। আর খেলা হবে আরও তিন মিনিট।
পরে দুই দলই স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় আরেকবার মাঠে নামে ৩ মিনিটের খেলা শেষ করতে। সেখানে আর্জেন্টিনা আর গোল পায়নি। আর গোল বাতিলের সুবাদে ২-১ গোলের জয় দিয়ে দারুণ এক সূচনা পেয়ে যায় মরক্কো। এরপরই এমন ঘোলাটে পরিস্থিতি নিয়ে ফিফায় নালিশ করার কথা জানান এএফএ সভাপতি তাপিয়া। যেখানে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দায়ীদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।
এ ছাড়া আয়োজকদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ আর্জেন্টাইন কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোও বিষয়টিকে ‘সার্কাস’ বলে মন্তব্য করেন। দেশটির মহাতারকা লিওনেল মেসিও এই ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে প্রতিক্রিয়া দেখান ইনস্টাগ্রামে। এর বাইরে জাতীয় দলের তারকা মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল ফুটবলারদের সমর্থন দেন এবং নিকোলাস তালিয়াফিকো আয়োজকদের তুলোধুনা করেছেন।