ওয়ার্ড অফিসে সেবা বন্ধ দুর্ভোগে নগরবাসী
চট্টগ্রাম নগরীর বেশির ভাগ ওয়ার্ড কার্যালয় এখনো তালাবদ্ধ ও ভাংচুর অবস্থায় রয়েছে। কার্যালয়ে আসছেন না ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সচিব ও কর্মীরাও। ফলে সেবা নিতে আসা নগরবাসীদের ফেরত যেতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সনদ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। তবে কিছু কিছু ওয়ার্ড কার্যালয়ে ওয়ার্ড সচিব ও কর্মীরাও আসলেও এখনো সেবা পাচ্ছেন না নগরবাসী।
সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ, জাতীয়তা সনদ, চারিত্রিক সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, ওয়ারিশান সনদসহ প্রয়োজনীয় সব সনদ দেওয়া হয়। এসব সনদে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর লাগে। কিন্তু এখন তা ইস্যু করা যাচ্ছে না। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ হয়। ওইদিন দেশ ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিমের বাড়িসহ সিটি কর্পোরেশনের অন্তত ২০টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে অফিস করছেন না মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
নগরীর ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়ও ভাংচুর করা হয়েছে। ওয়ার্ডের পুরাতন একটি কার্যালয়ে এসেছেন ওয়ার্ড সচিব এম এ করিম। তিনি বলেন, কাউন্সিলর না আসায় মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন জন্ম নিবন্ধন সনদ ও জাতীয়তা সনদের জন্য লোকজন আসলেও তাদের ফেরত পাঠাতে হচ্ছে।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়গুলোর বেশির ভাগ ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি খোলার মতো অবস্থা নেই। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা না থাকায় মানুষ সেবা পাচ্ছেন না। অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র দায়িত্ব নিয়েছে। নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশনের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। আর ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থক।