ত্রিপুরা জুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভারতের ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস পালিত
সারা ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার(১৫ আগস্ট) ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে উদযাপন করা হয় ভারতের ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস।
ত্রিপুরা রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানটি হয় রাজধানী আগরতলার আসাম রাইফেলস ময়দানে।
রাজ্যভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।
ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে রাজ্যভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর হুড খোলা গাড়িতে করে মাঠ পরিক্রমা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সময় মাঠে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল ত্রিপুরা পুলিশের পুরুষ প্লাটুন, মহিলা প্লাটুন, ট্রাফিক পুলিশ, বিএসএফ, আসাম রাইফেল, সিআরপিএফ, টিএসআর, বনরক্ষী বাহিনী, পাশাপাশি এন এস এস, এনসিসি, স্কাউট এন্ড গাইড, আসাম রাইফেল স্কুলের ছাত্ররা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রদক্ষিণ শেষে এইসব বাহিনীর সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীকে স্যালুট জানিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ত্রিপুরা সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়ন শিক্ষা স্বাস্থ্য ইত্যাদিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ নাগরিকদের উন্নতির জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সফলতা লাভ করতে পারে। রাজ্যে অতিরিক্ত বিমানবন্দর চালু করা সড়ক ব্যবস্থার উন্নতি আর্থিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে বলে বক্তব্যে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তার হাতে মেডেল তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সদস্য জনপ্রতিনিধি সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দেশাত্মবোধক নৃত্য এবং সংগীত পরিবেশন করেন।
এছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি জেলা মহকুমা এবং গ্রামীন এলাকাগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।