শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ডিনের পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের প্যানেল থেকে নির্বাচিত এই দুই ডিনের পদত্যাগের দাবিতে আজ সোমবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় তাঁদের পদত্যাগ এ মুহূর্তেই কার্যকর হচ্ছে না৷
আইন অনুষদের ডিন ও নীল দলের নেতা অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহর পদত্যাগের দাবিতেও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। তবে দুই সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ ও সীতেশ চন্দ্র বাছার এখনো পদত্যাগ করেননি।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল বাছির। আজ সকালে শিক্ষার্থীরা ডিন পদ থেকে পদত্যাগের দাবিতে কলা অনুষদ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ হাতে পদত্যাগপত্র লিখে তাতে স্বাক্ষর করেন আবদুল বাছির।
উপাচার্য বরাবর দেওয়া পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক বাছির লেখেন, ‘আমি কলা অনুষদের ডিন পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনও দুপুরে পদত্যাগ করেন। উপাচার্য বরাবর দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি গণহত্যা ও স্বৈরাচারিতার পক্ষে অবস্থান করায় চারুকলা অনুষদের ডিনের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিসংবলিত একটি পত্র আমার হাতে এসেছে। তাঁদের অভিযোগ কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ এবং পদত্যাগের দাবি কতটা যৌক্তিক, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে আবেদন করার কোনো সুযোগ বর্তমান পরিস্থিতিতে নেই বলে আমি ওই অভিযোগ আমলে না নিয়েও আমাকে ডিনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
সহ-উপাচার্য সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর এই পদত্যাগগুলো কার্যকর হবে।