চন্দ্রঘোনায় ফেরি বন্ধ, দুপাড়ে উপচে পড়া ভিড়
রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের পানিতে কর্ণফুলীতে স্রোত বেড়েছে। এতে করে গত দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে সাম্পান যোগে নদী পারাপার। কর্ণফুলী নদীর তীব্র স্রোত উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট সাম্পান দিয়ে নদী পার হচ্ছে শত শত যাত্রী।
বুধবার বিকালে চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী নদীর ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সাম্পান যোগে নদী পার হতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই সাম্পানে ওঠার জন্য অপক্ষো করছেন। অন্যদিকে নদীতে সাম্পান চালকরাও দম ফেলার সময় পাচ্ছেননা। সাম্পান চালকরা এপার ওপার যাত্রী পার করতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকা স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহ আলম, রাহেলা বেগম, সুমি দাশ সহ কয়েকজন বলেন, নদীতে স্রোত এতটা বেড়েছে যে আমরা সাম্পান দিয়ে নদী পার হতে ভয় পাচ্ছি। অনেকটা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা নদী পার হচ্ছি। এছাড়া ফেরি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তাই সিরিয়াল দিয়ে আছি নদী পার হওয়ার জন্য।
স্থানীয় সাম্পান চালক মো. ইস্কান্দার, আব্দুল মালেক বলেন, নদীর স্রোতে সাম্পান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। নদী পার হতে আগে ২-৩ মিনিট লাগলেও বর্তমানে ৭ থেকে ১০ মিনিট লাগছে। তবে ফেরি বন্ধ থাকায় যেহেতু শুধুমাত্র সাম্পান চলছে তাই আমাদের আয় রোজগার বেড়েছে। আশা করছি, কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার গতি কমানো হলে আবারো নদীর স্রোত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
এদিকে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ায় কর্ণফুলী নদীর স্রোত বৃদ্ধি পাওয়াতে চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল করা যাচ্ছেনা। বিশেষ করে ফেরির ব্যালেন্স রেখে চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। তাই ঝুঁকি এড়াতে ফেরি বন্ধ। তবে নদীতে পানির স্রোত কমলে আবারো চালু হবে ফেরি চলাচল।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮.৫০ এমএসএল। যেখানে সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এছাড়া বর্তমানে প্রায় ৪ ফুট করে কাপ্তাই বাঁধে পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। হ্রদে পানির পরিমাণ কমলে বাঁধের উচ্চতাও কমানো হবে বলে জানা গেছে।