বিদায়ী নির্বাচন কমিশনারদের গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ
সদ্য পদত্যাগ করা দুই নির্বাচন কমিশনারের গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পদত্যাগের পর কমিশনারদের জন্য বরাদ্দকৃত গাড়িতে ইসি ছাড়ার সময় কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমানের গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ করেন তারা।
এর আগে দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়ে’ পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার কমিশনার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না রাশেদা ও আনিছুর। ইসি ভবন ছেড়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে পড়েন এই দুই কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে গত নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের পক্ষে ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, “নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩, স্বতন্ত্র ৫৬, জাতীয় পার্টি ১১, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে বিজয়ী হয়েছে। এই নির্বাচন মূলত একদলের মধ্যে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৩তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। একই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই গেজেটে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
সে হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ৩০ মাস দায়িত্ব পালন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি নির্বাচন, জেলা ও উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন শেষ করেছে বর্তমান কমিশন। তবে সব নির্বাচনই ছিল প্রায় বিতর্কিত ও ভোটার শূন্য।