‘মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট টেকনিশয়ানদের ফিজিও চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ নেই’
‘বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে একজন কোমড় ব্যথায় ভুগছেন। ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ বা অপারেশন সমাধান নয়। কোমড় ব্যথার কারণ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে বিশ্ব ফিরিওথেরাপি দিবসের এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
চট্টগ্রামে অবস্থানরত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে নগরের একটি রিহ্যাব সেন্টারে ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে কোমড় ব্যথায় ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকা বিষয়ে সচেতনতা’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপিস্ট নিউরো এন্ড স্পোর্টস ফিজিও বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, প্রয়াস চট্টগ্রাম শাখার ফিজিও ডা. জাহেদ ও বিশেষজ্ঞ ফিজিও ডা. শহীদ খান প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা আইনের ধারা তুলে ধরে বলেন, কোন ভাবেই ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট বা টেকনিশিয়ানরা নিজেদের ফিজিও দাবি করে সরাসরি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করার সুযোগ নেই। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন- ২০১৮ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি প্রেসক্রিপশন এবং চিকিৎসা প্রদানকারী ফিজিওথেরাপিস্ট হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা স্বীকৃত পাবিলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত প্রদত্ত ৫ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি (প্রফেশনাল) ডিগ্রি। তারা রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাক্টিশিনার হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। অনুরুপভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে ৩/৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলোজিতে (ফিজিওথেরাপি) সনদ প্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্টরা আইন অনুসারে ফিজিওথেরাপিস্টদের তত্ত্বাবধানে সেবা দেবেন।
‘অথচ ফিজিওথেরাপিতে কোন প্রকার সনদ নেই অথবা ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট বা ফিজিওথেরাপিতে অধ্যয়নরত ( ইন কোর্স বা অন কোর্স) এমন অনেকেই নিজেদের ফিজিওথেরাপিস্ট তথা ফিজিও পরিচয় দিয়ে সাধারণ রোগীদের ধোকা দিয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। কেননা রোগীরা জানেন না কে ফিজিওথেরাপিস্ট বা কে টেকনোলোজিস্ট বা কে টেকনিশিয়ান। এই বিষয়ে জনগনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’ — সেমিনারে তুলে ধরেন বক্তারা।