অলিম্পিয়াডে যাচ্ছেন দুই বোন ওয়ালিজা-ওয়াদিফা
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে এবারের দাবা অলিম্পিয়াডের ৪৫তম আসর বসতে চলেছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দাবা অলিম্পিয়াড।
পাঁচ জনের নারী দলে দুই বোন ওয়ালিজা ও ওয়াদিফা রয়েছেন। বাংলাদেশের নারী দাবায় ওয়ালিজা আহমেদ উঠতি তারকা। বিগত দুই অলিম্পিয়াডেও তিনি বাংলাদেশ দলে ছিলেন। এরপরও খেলা হয়নি। এবার বোনসহ অলিম্পিয়াডে যাচ্ছেন তাই বাড়তি উচ্ছ্বাস, ‘২০২০ সালে করোনার জন্য অলিম্পিয়াড হয়নি। ২০২২ সালে পরীক্ষার জন্য খেলতে পারিনি। এবার যখন অলিম্পিয়াড নিশ্চিত হলো তখনও অনিশ্চয়তা ভর করছিল। দেশের এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত খেলতে যেতে পারব তো। আগামীকাল রওনা হচ্ছি বোনকে সঙ্গে নিয়ে এটা বিশেষ ভালো লাগা। ‘
দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ ওপেন ও মহিলা দুই বিভাগে অংশ নিচ্ছে। দুই বিভাগেই জাতীয় দাবায় শীর্ষ পাঁচ দাবাড়ুই জায়গা পেয়েছেন। ছোট বোন ওয়াদিফা আহমেদ মহিলা দাবায় তৃতীয় হওয়ায় অলিম্পিয়াড নিশ্চিত ছিল। পঞ্চম স্থানের জন্য ওয়ালিজাকে রাণী হামিদের সঙ্গে প্লে-অফ খেলতে হয়েছে। ওয়ালিজা সেই প্লে-অফ জেতায় বেশি খুশি হয়েছিলেন ওয়াদিফা, ‘আপু যখন জিতল তখন আমি খুশিতে লাফিয়েছি। দুই বোন এক সঙ্গে অলিম্পিয়াড খেলব এর চেয়ে আনন্দ আর হয় না। ’
জিয়ার পুত্র তাহসিনের সঙ্গে বুদাপেস্ট যাচ্ছেন তাঁর মা তাসমিন সুলতানা। সংবাদ সম্মেলনকক্ষে তাসমিনও ছিলেন। জিয়ার অনুপস্থিতি তাকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। বললেন, ‘ভাবতেই পারছি না জিয়া নেই। এখনো মনে হয় ও আমাদের সঙ্গেই আছে। গত অলিম্পিয়াডেও আমরা তিনজন একসঙ্গে গিয়েছিলাম। এবার দুজন যাচ্ছি, একজন নেই। ’
১৯৮৪ থেকে বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯ বারের মধ্যে ১৬ বারই দলে ছিলেন জিয়া। ১৯৮৮ সাল থেকে তার যাওয়া শুরু। মাঝে দাবা ফেডারেশনের সঙ্গে দূরত্বের কারণে ২০১০ সালে নিজেই যাননি। ২০২০ সালে অলিম্পিয়াড হয়নি করোনার কারণে। ২০২২ সালে সর্বশেষ চেন্নাই দাবা অলিম্পিয়াডে জিয়া গিয়েছিলেন ছেলে তাহসিন তাজওয়ারকে নিয়ে। বাবা-ছেলের অলিম্পিয়াডে খেলার সেটি ছিল একটা রেকর্ড। এবার তাহসিন যাচ্ছেন, কিন্তু জিয়া নেই। গত ৫ জুলাই জাতীয় দাবায় খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জিয়া।