হেফাজতের হুঁশিয়ারি: ছাত্র হত্যার আসল ঘটনা উদঘাটন না হলে দুর্বার আন্দোলন
হাটহাজারী মডেল থানার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হেফাজত কর্মী ও মাদ্রাসা ছাত্র হত্যাকাণ্ডের আসল ঘটনা উদঘাটন করা না হলে ছাত্র জনতার নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আল আমিন সংস্থার কার্যালয়ে হাটহাজারীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। তারা হত্যাকাণ্ডের সকল আসামিকে গ্রেপ্তার পূর্বক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ মাস্টার।
তারা বলেন, সেদিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। তা সত্ত্বেও ঘটনার সম্পূর্ণ দায় চাপানো হয়েছে হেফাজতের ওপর। তারা প্রশ্ন তোলেন, হেফাজতের কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও হাটহাজারী থানায় রায়ট কার, জল কামান সহ অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে পুলিশের রণ-প্রস্তুতি ছিল কেন? ওসি রফিক হাটহাজারী মডেল থানায় থানার সম্মুখে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ন্যায় বাংকার স্থাপন করেছিলেন কেন?
হেফাজত নেতারা অভিযোগ করেন, ওসি রফিক আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনে দাম্ভিকতার সাথে বলতেন, হেফাজত অনেক তাণ্ডব চালিয়েছে। এবার আমি দেখে নেব। প্রয়োজনে হাটহাজারীতে ১০ হাজার লাশ পড়বে।
তারা আরও বলেন, ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাধারণ মুসল্লিদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে হাটহাজারীতে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে ওসি রফিকের সরাসরি নির্দেশে গুলি চালানো হয়। এতে চারজন হেফাজত কর্মী ও মাদ্রাসা ছাত্র নিহত সহ অর্ধ-শতাধিক মানুষ আহত হন।
হেফাজত নেতারা এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য ওসি রফিক সহ জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দফতর সম্পাদক মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা হাফেজ আলী আকবর, মাওলানা রিজওয়ান আরমান, মাওলানা আবুল হাশেম, মাওলানা আনিস, মাওলানা আসাদ উল্লাহ, আবু তাহের রাজিব সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমী।