খেলা

হার্শার দেখা বাংলাদেশের সেরা টেস্ট স্কোয়াড এটাই

ভারতের বিপক্ষে আটটি সিরিজের সাতটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিনটি ছিল এক ম্যাচের সিরিজ। এই পরিসংখ্যান নিয়েই আবারো ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা।

পাকিস্তানে গিয়ে ইতিহাস গড়ায় ফুরফুরে মেজাজেই আছে বাংলাদেশ। তবে ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা একের পর এক হুমকি দিচ্ছেন টাইগারদের। বর্তমান পেসার মোহাম্মদ শামিও বলেছেন, বাংলাদেশকে বুঝতে হবে তারা ভারতে খেলতে আসছে।

তবে এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। ভারত সফরে যাওয়া বাংলাদেশের বর্তমান টেস্ট দল নিয়ে প্রশংসায় মেতেছেন তিনি। তার মতে লম্বা সময় পর এটাই বাংলাদেশের সেরা টেস্ট স্কোয়াড। এর পেছনে যুক্তিও তুলে ধরেছেন হার্শা।

সম্প্রতি পাকিস্তানে গিয়ে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ভারতের বিপক্ষেও দলটিকে নিয়ে তাই সমর্থকদের মধ্যে আশা বেড়েছে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশের স্কোয়াড বিশ্লেষণে গিয়ে পেছনে ফিরে তাকিয়ে বর্তমানের তুলনা টেনেছেন হার্শা, ‘তারা ভারতের বিপক্ষে ১৩টি টেস্ট খেলেছে, বৃষ্টির কারণে দুটি ড্র ছাড়া সব হেরেছে। একটা টেস্টে জেতার খুব কাছে গিয়েছিল। সেটা সর্বশেষ যে ম্যাচ ছিল ঢাকায়। ২০১৯ সালে সফরে এসে তারা যে দুই টেস্ট খেলল তাদের কাছ থেকে কোনো লড়াইয়ের তাড়না পাইনি। কিন্তু এবার তাও বাংলাদেশ দলটাকে নিয়ে কেন আমি এত আগ্রহী? কারণ আমি সত্যিই বিশ্বাস করি লম্বা সময় ধরে আমার দেখা এটাই তাদের সেরা স্কোয়াড।’

এই স্কোয়াডকে সেরা বলার পেছনের কারণগুলো একে একে ব্যাখ্যা করেন এই ক্রিকেট বিশ্লেষক, ‘যেসব কারণে এই স্কোয়াড তাদের সেরা বলব তা হচ্ছে এক নম্বরে তাদের এখন গতিময় পেসার আছে। নাহিদ রানা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর পেসার। সব সময় আমরা সত্যিকারের পেসের কথা বলি যেটাতে কিছু না কিছু হয়, নাহিদের তা আছে। পাকিস্তানের খুব ভালো ব্যাটারদের সে ভুগিয়েছে। হাসান মাহমুদ আরেকজন যে বেশ কিছু উইকেট নিয়েছে। তাসকিন আহমেদের নিজেকে আরেকবার দেখানোর মঞ্চ যে সে কেমন মানের বোলার। কাজেই তাদের তিনটা সত্যিকারের পেসার আছে।’

‘এছাড়া বেশি যে দুই কারণে আমি তাদের উঁচুতে রাখছি তা হচ্ছে তাদের দুজন লোক আছে যারা কিপিং করতে পারে এবং একই সঙ্গে দারুণ ব্যাটার (মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস)। একদম খাঁটি ব্যাটার হিসেবে একাদশে থাকতে পারে।

এবং দুজন প্রকৃত স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার আছে। সাকিব আল হাসান অবশ্যই। এবং প্রতিটা সময়ে যে ভালো করছে, আমি যার কথা প্রায়ই বলি সে হচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজ।’

হার্শার মতে সাকিব ও মুশফিক খেলা ছেড়ে দিলে মিডল অর্ডারে আস্থার দুই নাম হবেন লিটন ও মিরাজ, ‘আমার দেখে মনে হয়েছে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনেই আরও বড় ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমি জানি না সাকিব আর কতদিন খেলবে, আমার মনে হয় সে শেষের দিকে আছে। একইকথা বলব মুশফিকের বেলায়। এই দুজনের একদম আদর্শ বিকল্প হবে মিরাজ ও লিটন। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে নিজেদের সামর্থ্যের থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করছে সবাই। এটা ব্যাটিং গভীরতার খুব ভালো দিক। কিন্তু উপরের দিক থেকে রান আসতে হবে। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের রান পেতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d