জিবরাঈল আ.- কে যেমন দেখেছেন মহানবী সা.
সম্মানিত ও বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন ফেরেশতাদের একজন হজরত জিবরাঈল আ.। জিবরাঈল তাঁর প্রসিদ্ধ নাম হলেও পবিত্র কোরআনে আরও বেশ কিছু সম্মানিত উপাধিতে সম্বোধন করা হয়েছে এই মহান ফেরেশতাকে। যেমন সুরা শুয়ারার ১৯৫ নম্বর আয়াতে তাঁকে ‘রুহুল আমিন’ অর্থাৎ সৎ-আত্মা উপাধিতে সম্বোধন করা হয়েছে। অনুরূপভাবে সুরা মারিয়ামের ১৯ নম্বর আয়াতে ‘রসুলু রব্বিকি’ তথা তোমার রবের বার্তাবাহক উপাধিতে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
জিবরাঈল আ. ২৪ হাজার বার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসা্ল্লামের কাছে আগমন করেছিলেন। কখনো তিনি নিজের আকৃতিতে আসতেন আবার কখনো কোনো সাহাবির আকৃতিতে আসতেন। তাঁর আকৃতি কেমন ছিল তা রাসূল সা. দেখেছেন এবং হাদিসে বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রথমবার আসল আকৃতিতে দেখেছিলেন এবং দ্বিতীয়বার মেরাজের রাতে সিদরাতুল-মুন্তাহার কাছে দেখেছিলেন। প্রথমবারে দেখা নবুওয়তের সম্পূর্ণ প্রাথমিক জামানায় হয়েছিল।
জিবরাঈল আ.-এর আকৃতির বর্ণনা সম্পর্কিত রাসূলের হাদিসে মাধ্যমে বুঝা যায়, তার ৬০০ ডানা রয়েছে। ইমাম আহমদ রহ. বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল সা. জিবরাঈল আ.-কে তাঁর নিজ আকৃতিতে দেখেছেন। তার ৬০০ ডানা ছিল। প্রতিটি ডানা দিগন্ত আচ্ছাদিত করে ফেলেছিল। তাঁর ডানা থেকে ঝরে পড়ছিল বিভিন্ন বর্ণের মুক্তা ও ইয়াকূত।
ইমাম আহমদ রহ. আরেক বর্ণনায় বলেছেন, শাকীক রহ. বলেন, আমি ইবনে মাসউদ রা.-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূল সা. বলেছেন, আমি জিবরাঈলকে তারণ্য দীপ্ত যুবকের আকৃতিতে দেখেছি, যেন তাঁর সাথে মুক্তা ঝুলছে।
আরেক হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিবরীলকে ছয়শত ডানাবিশিষ্ট দেখেছেন। (বুখারি, হাদিস : ৪৮৫৬)