দেশে ক্যানসার আক্রান্তদের ৫-১০ শতাংশ সিএমএল রোগী
যে কোনও বয়সে ব্লাড ক্যানসার হতে পারে। ক্রনিক মায়েলয়েড লিউকেমিয়া (সিএমএল) রক্তের ক্যানসারেরই একটি ধরন।
শ্বেতরক্ত কণিকাগুলো যখন মায়েলয়েড টিস্যু থেকে অনিয়ন্ত্রিত হারে তৈরি হতে শুরু করে এবং শরীরে তার উপসর্গ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়, সেই রোগের নামই সিএমএল।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশ্ব ক্রনিক মায়েলয়েড লিউকেমিয়া (সিএমএল) দিবসের এ সভায় বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রাব্বানির সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ জসিম উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. হাফিজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস সাত্তার, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন ঢালি সহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা। সভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান।
বক্তারা বলেন, মানুষের বংশগতির বাহক ক্রোমোসোমের ৯ ও ২২ নম্বরের মধ্যে বিনিময়জনিত পরিবর্তনের কারণে এই রোগের উৎপত্তি। সিএমএলের লক্ষণ- অবসাদগ্রস্ততা, ক্ষুধামান্দ্য, ওজন কমে যাওয়া, ঘাম হওয়া, কোনোকিছু ভালো না লাগা, গরম সহ্য করতে না পারা, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া, হঠাৎ জ্বর আসা এবং কারণ ছাড়াই চুলকানি বেড়ে যাওয়া। এসব দেখা দিলে রক্তের পরীক্ষা করাতে হবে। এই রোগের ওষুধ ও চিকিৎসা বাংলাদেশে আছে। নিয়মিত চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে রক্তের ক্যানসারের রোগীদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ সিএমএল রোগী। চল্লিশোর্ধ্ব মানুষের রোগটি হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ধরনের ক্যানসারের অন্যতম কারণ হচ্ছে তেজস্ক্রিয়তা। কারণ, তেজস্ক্রিয়তাসংশ্লিষ্ট কাজে পুরুষের অংশগ্রহণই বেশি।