অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে আ.লীগ, কৌশলী ও সতর্ক বিএনপি
অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে আ.লীগ, কৌশলী ও সতর্ক বিএনপি
বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন ছিল ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর। ওই দিন রাজধানীতে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই দিনটিকে টার্গেট করে রাজধানীতে মহাসমাবেশ থেকে ‘মহাযাত্রা’ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এ কর্মসূচি ক্ষমতাসীনদের মরণকামড় দেয়ার শেষ অস্ত্র হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা শুধু মহাযাত্রা করব। এজন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিবের এমন দাবিকে ঠিক গ্রহণযোগ্য মনে করছে না ক্ষমতাসীনরা। তাদের মতে, বিএনপি ঢাকায় সহিংস কর্মকাণ্ড করার প্রস্তুতি হিসেবে লাখ লাখ লোক সমাগম করছে। তাই বিএনপিকে মোকাবিলার লক্ষ্যে এদিন ঢাকায় বিশাল শান্তি সমাবেশে জনসমাগম ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। নেতারা বলছেন, বিএনপিকে প্রতিহত করার সবধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেখানে নৈরাজ্য, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কয়েক মাস ধরেই রাজপথ মুখর করে রেখেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সরকার পতনের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি, এ সমাবেশ থেকেই সরকার পতনের মহাযাত্রা শুরু হবে। এতে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হবে ৩৬টির বেশি রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে, এদিন রাজপথ দখলে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন।
এক্ষেত্রে বিএনপি আসলে কী করতে যাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগই বা কী ভাবছে – এমন প্রশ্নই এখন জনসাধারণের মনে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ২৮ অক্টোবর। কেননা একই দিন ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। আওয়ামী লীগ নেতারা একদিকে যখন রাজপথ দখলে রাখার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, অন্যদিকে সরকার পতনের দাবিতে মহাসমাবেশকে সফল করতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এদিন রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। গত সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, জনজীবন যাতে ব্যাহত না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছি। জেলা প্রশাসকদেরও এ বিষয়ে বলা হয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে চেকপোস্ট বসানোর কথা জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হবে; কারণ ২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ ঘিরে যাতে কেউ নাশকতার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র বা বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও চেকপোস্ট বসানো হবে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ মহাসড়কগুলোতে প্যাট্রলিং জোরদার করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ জনগণ নিশ্চিন্তে তাদের কাজগুলো করতে পারেন। সর্বোপরি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দারাও কাজ করছেন। সাইবার ওয়ার্ল্ডেও র্যাবের কাজ চলছে। মূলত যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব সদা প্রস্তুত।
বিএনপির আগামী ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিতে বাধা না দিতে সরকার ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করেছেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। অনুমতির অপেক্ষায় থাকবে না বিএনপি-মহাসমাবেশ করতে না পারলে সারা ঢাকা শহরে নেতাকর্মীরা ছড়িয়ে পড়বে-এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। অন্যদিকে আগামী ২৮ অক্টোবর ঘিরে বিএনপি যেন সহিংস কর্মকাণ্ড করতে না পারে, যেজন্য রাজপথ দখলে রাখার কথা বলছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপির কাছে চিঠিও দেয়া হয়েছে। সমাবেশে লোকসমাগম ঘটাতে দফায় দফায় বৈঠক করছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
দলটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। লাখো লাখো নেতাকর্মী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিএনপি যেভাবে বসে যাবে সেভাবেই উঠিয়ে দেয়া হবে। কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের চেষ্টা করলে তাদের রুখে দেয়া হবে। তাদের বসার সুযোগ দেয়া হবে না। ধ্বংসাত্মক কিছু করার চেষ্টা করলে, দাঙ্গা-হামলা বা লুটপাট করার পাঁয়তারা করলে আমরা সেখানেই তাদের প্রতিরোধ করব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবারও ভুল পথে হাঁটছে। দিনক্ষণ দিয়ে কোনো সরকারের পতন হয় না। যারা দিনক্ষণ দিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়, তাদের আন্দোলন খাদে পড়বে।
নেতারা বলছেন, আমরা মাঠ ছেড়ে দেব না। কেউ খালি মাঠে গোল দিতে পারবে না। বিএনপি যদি মনে করে যে, তারা মহাসমাবেশ করবে, তো ওই একই জায়গায় করতে পারবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ঢাকা আওয়ামী লীগের অধীনেই থাকবে। কোন অপশক্তিকে মাঠ ছেড়ে দেবে না। সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ।
নেতারা জানান, আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেলে আনোয়ারায় বিশাল এক জনসভা করবে দলটি। তবে, বিএনপির মহাযাত্রাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা সেদিন ঢাকায় অবস্থান করবেন। অনেকে আবার বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন শেষে ঢাকায় ফিরে আসবেন। চট্টগ্রামে ওই দিন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকলেও রাজধানী ঢাকায় কয়েক লাখ নেতাকর্মীকে নিয়ে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে অংশ নেবেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, মানিকগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের নেতাকর্মীরাও ঢাকার সমাবেশে যোগ দেবেন। সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ‘এক দফা’ দাবি আদায়ের চূড়ান্ত আন্দোলনের দোরগোড়ায় এসে সুনিশ্চিত ‘বিজয়’ ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবছে না বিএনপি। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে এবার বেশ ‘কৌশলী ও সতর্ক’ দলটি। আগামী ২৮ অক্টোবর চূড়ান্ত আন্দোলনের মহাযাত্রায় ‘নো রিটার্ন’ কর্মসূচির মাধ্যমে ‘ডু অর ডাই’ পথেই এগিয়ে যাবে দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, কেবল ঢাকায় নয়, একতরফা নির্বাচন রুখে দিতে দেশব্যাপী একযোগে চলবে এ আন্দোলন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পথে বাধা এলেই পাল্টে যাবে রাজপথের চিত্র। ‘হামলা হলে পাল্টা আঘাত, প্রতিবাদ প্রতিরোধে কাঁপবে রাজপথ। নেতাদের বিশ্বাস- এবারের আন্দোলনে জনগণের সম্পূর্ণ সম্পৃক্ততার মধ্যে দিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থান’ হবেই।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মুখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বললেও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে কঠোর কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের সমস্ত পরিকল্পনা গুছিয়ে রেখেছেন দলটির নীতি-নির্ধারকরা। সূত্রের দাবি- ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হলে ৩০ কিংবা ৩১ অক্টোবর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করে ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। সচিবালয়ের কর্মসূচিতে বাধা দিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সেখানেই অবস্থান কর্মসূচির চিন্তা রয়েছে দলটির। তবে পরিস্থিতি বুঝে যে কোনো সময় কর্মসূচির মোড় পরিবর্তন হতে পারে। এক্ষেত্রে হরতাল, অবরোধ এমনকি অসহযোগ আন্দোলনেরও প্রস্তুতি রাখছে দলটি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছি আমরা। সময় খুব অল্প, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চূড়ান্ত কর্মসূচি আসছে। এক দফা দাবি আদায় হলেই এ আন্দোলনের সমাপ্তি হবে। আন্দোলনের মহাযাত্রার পথে কি ধরনের কর্মসূচি আসছে? এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, কর্মসূচির ধরন বিভিন্ন ফর্মে আসে। এই মূহর্তে বিএনপির সব প্রস্তুতিই রয়েছে। পরিস্থিতিই বলে দেবে কোন ফর্মে সেই আন্দোলন আসবে।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে জনতার অধিকার পার্টির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সোজা কথা। আমরা সমাবেশ করব। যেখানে (নয়াপল্টনে) বসার কথা সেখানে আমরা না বসলে সারা ঢাকার অলি-গলিতে ছড়িয়ে পড়ব, যার যা আছে তা নিয়ে বসে পড়ব। দেখবেন প্রত্যেক মানুষ ঘরের দরজা খুলে রাস্তায় নেমে আসবে। এখন টের পাচ্ছেন না তখন টের পাবেন।’
সূত্র জানায়, এসব কর্মসূচি ঠিক করতে শরিক দল জোটের পরামর্শ ও মতামত নিয়েছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয়, মহানগর, জেলাসহ মাঠপর্যায়ের নেতারা ধারাবাহিক বৈঠক করছেন। গত দুদিন ধরে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি, মহিলা দলের বৈঠকসহ বিভিন্ন সেলের প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। সবশেষে হাইকমান্ড নেতারা নিজেরা ম্যারাথন বৈঠক করছেন।
বৈঠকে উপস্থিত বিএনপি ও জোট নেতারা জানান, বৈঠকে প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়েছে ৩০ অক্টোবর যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল ও জোট যার যার অবস্থান থেকে পদযাত্রা সহকারে সচিবালয় অভিমুখে রওয়ানা হবে। বিএনপি নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করবে। তাদের পদযাত্রার সম্মুখভাগে থাকবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য, নারী ও শ্রমিক এবং সব শেষে বিএনপি। তবে সূত্র জানায়, মহাসমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, যা ১০ দিনব্যাপী হতে পারে। কর্মসূচি ঠিক করতে এখনো আলোচনা চলছে, চূড়ান্ত করা হয়নি। শুক্রবার তা চূড়ান্ত হতে পারে।
আগামী দিনের কর্মসূচিতে সতর্কতার পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের ওপরও দৃষ্টি রাখছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। কারন হিসেবে নেতারা জানান- তাদের কাছে তথ্য রয়েছে নির্বাচনে অংশ নিতে ইতিমধ্যে একাধিক শরিক দলকে ‘লোভনীয় টোপ’ দেয়া হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দলগুলো দফায় দফায় বৈঠক করে মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিএনপিকে ভাঙতে চেষ্টা করবে, যুগপৎ নেতাদের ‘টোপে’ ফেলতে ষড়যন্ত্র করতে পারে; এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক আছি।