জাতীয়

অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি আরব আমিরাতের

বাংলাদেশ ও আরব আমিরাত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করার জন্য উভয় দেশের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। দু’দেশের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিমান চলাচল, অবকাঠামো নির্মাণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত করার ওপর জোর দিয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ড. থানি বিন আহমেদ আল জাইউদির মধ্যে আজ আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে।

আজ মঙ্গলবার উভয় দেশের মন্ত্রী যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিল সক্রিয় করার এবং নিকট ভবিষ্যতে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (CEPA) সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ করতে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল জুনে বাংলাদেশ সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির পাশাপাশি, মন্ত্রীরা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলির বিষয়েও আলোচনা করেছেন এবং তা মোকাবেলা করতে এবং টেকসই উন্নয়নের প্রচারের জন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর এবং ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

এতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রীকে তার মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহায়তা করেন।

উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আমন্ত্রণে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম এআইএম (বার্ষিক বিনিয়োগ সভা) কংগ্রেস-২০২৪-এ যোগ দিতে ৩ দিনের সরকারি সফরে আবুধাবিতে অবস্থান করছেন। ৭-৯ মে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিডারগণ, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা এবং অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞসহ ১৭৫টি দেশের ১০ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী কৌশল এবং সুযোগগুলি অন্বেষণ করতে বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে জড়ো হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d