অসন্তোষের ইস্যুতে এক টেবিলে চসিক-সিএমপি
পে পার্কিং, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, যত্রতত্র হকার এসব নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের উপর ক্ষুব্ধ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চারদিন আগে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এসব নিয়ে একরাশ ক্ষোভ ঝেড়েছেন কাউন্সিলররাও। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন খোদ মেয়রও। অসন্তোষের এই পরিস্থিতিতে মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে সিএমপির একটি প্রতিনিধি দল।
চট্টগ্রামের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পে-পার্কিং, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সড়কে অপরাধ নিরসন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। যেখানে উঠে আসে, বড় বড় মার্কেট, স্থাপনায় পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের অভাব, সড়কে আলোকায়নের ঘাটতিসহ বেশ কয়েকটি বিষয়।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, চট্টগ্রামের যানজট কমাতে করণীয় নির্ধারণ করে প্রস্তাবনা দিবে চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগ আর তার ভিত্তিতে নগরের সড়ক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
রবিবার (১ অক্টোবর) চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মেয়র বলন, চট্টগ্রামের যানজট নিরসণে ট্রাফিক বিভাগ প্রস্তাবনা নিয়ে আসলে, সে প্রস্তাবনার আলোকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একসাথে কাজ করলে চট্টগ্রামের যানজট কমানো সম্ভব। বর্তমানে পার্কিং সংকটের কারণে যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে শহরে যানজট বাড়াচ্ছে। একারণে, আমি নগরীতে পে-পার্কিং চালু করতে চাই। এছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশা বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাড়িয়েছে, এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
প্রতিনিধি দলটি জানায়, ট্রাফিক বিভাগ দ্রুততম সময়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে চসিকের সাথে আলোচনায় বসবে। নগরীতে অনেক বড় মার্কেট ও বিশাল স্থাপনায় পর্যাপ্ত পার্কিং না থাকায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। এজন্য পার্কিং কোথায় হবে সেটা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া নগরের যেসব সড়কে আলোকায়নের ঘাটতি আছে সেখানে আলোকায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে ফ্লাইওভার ও প্রয়োজনীয় সড়কে ইলুমিনেটিং কালার ব্যবহার করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডিসি ট্রাফিক দক্ষিণ এন এম নাসিরুদ্দিন, ডিসি ট্রাফিক উত্তর মো. জয়নুল আবেদীন, ডিসি ট্রাফিক (পশ্চিম) মো. তারেক আহমেদ, ডিসি ট্রাফিক বন্দর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমসহ ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নগরের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে চসিকের ৩২তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের উপর ক্ষোভ ঝাড়েন কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন মেয়রও।
ওই বৈঠকে চসিক মেয়র বলেন, ‘টানেল চালু হলে শহরে গাড়ির চাপ আরও বাড়বে। যানজট কমাতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে হবে এবং রিকশার মতো ধীরগতির বাহনের লাগাম টানতে হবে। কলকাতার মতো ঘিঞ্জি শহরে পে-পার্কিং চালু করা গেলে, চট্টগ্রামে করতে ট্রাফিক বিভাগের আপত্তি কোথায়? পে-পার্কিং করতে গেলে সেখানে বাধা, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেতো কোনো বাধা দেখছি না।’