আখাউড়া বন্দরে ভারতীয় নারীকে হেনস্থার অভিযোগ
আখাউড়া স্থলবন্দরে ভারতীয় নারী যাত্রীকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রুবেল নামের এক কাস্টমস কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে স্থলবন্দরের কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিং রুমে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী যাত্রীর নাম ঐশি সাহা। তার বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার জোগেন্দ্র এলাকায়।
ভুক্তভোগী ও স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন আগরতলার জোগেন্দ্রনগর এলাকার সঞ্জিত সাহা, তার বোন ঐশি সাহা ও তাদের আরেক আত্মীয়। এ সময় কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিংয়ে তাদের ব্যাগে একটি মদের বোতল পাওয়া যায়। মদের বোতলটি ছাড়িয়ে নিতে তাদের কাছে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন কাস্টমসের সিপাহী মো. রুবেল। প্রত্যেক বিদেশি যাত্রী একটি করে মদের বোতল আনতে পারবে- এমন নিয়মের কথা বলার পর সিপাহী রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে রুবেল বলতে থাকেন যে- ওই যাত্রীরা মাদক ব্যবসায়ী। আর ব্যবসায়ী না হলে এখনই মদের বোতল ভেঙে খেতে হবে। পরে উত্তেজিত রুবেল তখন মদের বোতল ভেঙে পানিতে মিশিয়ে ঐশিকে খেতে বলেন। এতে ভাইয়ের সামনে বিব্রত হন ঐশি। পরে সঞ্জিতের কাছেও মদের গ্লাস নিয়ে যায় রুবেল। তখন ভারতীয় ওই যাত্রীদের নানারকম ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে খবর পেয়ে ওই যাত্রীদের পরিচিতরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা প্রতিবাদ করল কাস্টমসের এক কর্মকর্তা তার সহকর্মীকে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ান।
যাত্রী সঞ্জিত সাহা বলেন, নিয়ম মেনেই এক বোতল মদ আনা হয়। কিন্তু কাস্টমসের একজন বলছিল এটা নিতে হলে টাকা দিতে হবে। এতে রাজি না হওয়ায় আমার বোনকে জোর করে মদ খাইয়ে দিতে চায়। আমাকেও খেতে বলে।
ঐশি সাহা বলেন, আমি বলেছি আমার বয়স ১৮ পার হয়েছে। মদ খেতে হলে বাসায় খাব। আপনাদের সামনে কেন খেতে হবে। এরপর তারা নতুন কাপড় কি কি আছে জানতে চায়। আমি বলেছি বেড়াতে এলে নতুন কাপড় আনা যাবে না এমন কোনো নিয়ম আছে নাকি।
এ বিষয়ে স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। যিনি ছিলেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।