ইরানে ২৫০ ‘শয়তানবাদী’ গ্রেপ্তার
রাজধানী তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ‘শয়তানবাদী’ নেটওয়ার্কের ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের পুলিশ। যার মধ্যে তিনজন ইউরোপিয়ানও আছেন।
শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে দেশটির পুলিশ বলেছে, “পুলিশ তথ্য কেন্দ্র জানাচ্ছে যে— শয়তানবাদী নেটওয়ার্কের সদস্যদের শনাক্তকরণ, ভেঙে দেওয়া ও তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ ১৪৬ জন পুরুষ এবং ১১৫ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। যারা আপত্তিকর এবং অশ্লীল অবস্থায় ছিল। তাদের কাপড়, মুখমণ্ডল এবং চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ও চিহ্ন ছিল।”
“এছাড়া তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলের শাহরিয়ার শহরে পুলিশের অভিযানে তিন ইউরোপীয়ানও গ্রেপ্তার হয়েছেন।” যোগ করা হয় বিবৃতিতে।
তারা কী ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেছেন সে বিষয়টি স্পষ্ট করা জানানো হয়নি।
তবে ইরানে প্রায়ই ‘শয়তানবাদীদের’ বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। বিশেষ করে পার্টি, কনসার্ট এবং মদ্যপানের স্থানে প্রায়ই হানা দেয় পুলিশ। যার বেশিরভাগই ইরানে নিষিদ্ধ।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আর্দেবিলে অভিযান চালিয়ে তিন ‘শয়তান পূজারী’-কে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিল ইরান।
ওই বছরেরই মে মাসে দেশটি জানিয়েছিল, দক্ষিণাঞ্চলের শহর সিরাজের একটি কনসার্টে অভিযান চালিয়ে ‘১০৪ শয়তান পূজারী’-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা কনসার্টে মদ পান এবং ‘রক্ত চুষছিল’।
২০০৭ সালে তেহরানের একটি বাগান থেকে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেখানে অবৈধভাবে একটি রক কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল।
শিয়া মুসলিম দেশ ইরান এর আগে রক এবং হেভি মেটাল গানের কনসার্টকে শয়তানবাদীদের জমায়েত হিসেবে অভিহিত করেছিল।