ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বিএনপি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত নির্বাচন নিয়ে বিএনপির চক্রান্ত ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে তারা আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে ও মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন।ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে এবং বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি হত্যা বন্ধে কোনো প্রতিবাদ না করে বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় ‘সেন্টিমেন্ট’ নিয়ে অপরাজনীতি করছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে তারা ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু) দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করে, তারা এ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ, কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামি দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমে দাঁড়িয়ে যায়। এখন আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? আপনারা কোথায় এখন? নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন। ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটি বড় মিছিলও করতে দেখলাম না আপনাদের।
এরা আসলে ইসলামপ্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে, উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি অটল সমর্থন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও মানুষের অবস্থান সবসময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের নেতা ফরিদুজ্জামান, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।