জাতীয়

উপজেলা ভোটে এমপি-মন্ত্রীর কোন স্বজন অংশ নিতে পারবেন না জানালেন শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি-মন্ত্রীর স্বজনের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “এমপি-মন্ত্রীর স্বজন বলতে তার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে বুঝানো হয়েছে। তারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।”

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মানুষের খাদ্য চাহিদা বেড়েছে। এখন মানুষ আমিষ খেতে চায়। এক সময় মানুষ ভাত-নুন খেতে পারতো না। এখন মানুষ তিন বেলা খেতে চায়। এখন মানুষের চাহিদা ডিম মাংসের দাম বাড়লো কেন?”

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা এখনো নির্বাচনের মাঠে থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “এমপি-মন্ত্রীর স্বজন বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? যারা তাদের কাছের লোক, যেমন ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী। কিন্তু এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনে সবকিছু নিজেরাই নিয়ে নেবে, সেটাই আমি সবাইকে বুঝিয়েছি। যাতে তারা সবকিছু নিয়ে না নেয়। কারণ কর্মীদেরও ছাড় দিতে হবে। কারণ এক জায়গায় ছেলে, অন্য জায়গায় মেয়ে বা স্ত্রী নির্বাচন করলে অন্যরা কী করবে?”

শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচনে কর্মীদেরকেও ছাড় দিতে হবে। এজন্য আমরা বলে দিয়েছি অন্যদেরকে নির্বাচন করার সুযোগ দিন, যাতে এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে না পারে। এটা যেন না হয়। আমাদের লক্ষ্য নির্বাচন অর্থবহ করা। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। মানুষ যাকে ভোট দেবে। তারা জিতে আসবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “সমবায় কৃষি দেশকে আরও এগিয়ে নেবে। পরিবার ভাগ হলে জমিও ভাগ হয়। তখন যান্ত্রিকভাবে হাল বসানো কষ্ট হয়। জমি যার তিনি সেই ভাগটা নেবেন। এতে প্রচুর ফসল হবে। যত অনাবাদি জমি ছিল আমার এলাকায়, চাষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার কতটুকু জমি সেই অনুপাতে টাকার ভাগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে চাষাবাদ করে আমার ভাগে এক লাখ টাকা পেয়েছি।” “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই তো দেশ উন্নয়ন হয়েছে। ঝড়, খরা, বন্যা-দুর্যোগ–এখন তো আর সেগুলো শুনতে হয় না।” বলেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি। এ জন্য আলাদা উপকমিটি করে দিচ্ছি। বাইরের কোন কোন দেশ বা দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।”

আওয়ামী লীগের জোট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “১৪ দল আছে, অবশ্যই থাকবে। থাকবে না কেন? আমি খুব শিগগিরই ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে বসব। নির্বাচনে ১৪ দলের অনেকেই অংশগ্ৰহণ করেছে। নির্বাচনে হারা-জেতা আলাদা বিষয়। ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু আছেন, তিনি এই জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাস্তায় পুরোনো বাস চলে, তাহলে কী করব? ট্রাফিক রুল অনেকেই মানে না। এ জন্য নিজেদের সচেতন হতে হবে। যা করে দিয়েছি, তা যত্ন সহকারে ব্যবহার করুন। ভলবো বাস নিয়ে এলাম। বিএনপি নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা আনি কষ্ট করে ওরা পুড়িয়ে ফেলে‌।”

এসময় মেট্রোরেল যত্নের সঙ্গে ব্যবহার করতে বলেন শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d