এইচএসসি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, পরীক্ষার্থীরা চায় ‘অটো পাস’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে স্থগিত এইচএসসির ও সমমানের বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা আরও পেছাবে এবং এসব বিষয়ে অর্ধেক নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে জানানো হয়, পরীক্ষা আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের পর আরও ২ সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানানো হয়। স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত রুটিন বাতিল হতে পারে। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে এইচএসসি ও সমমানের কিছু বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর স্থগিত পরীক্ষাগুলো নিতে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। তবে আর পরীক্ষায় বসতে চান না শিক্ষার্থীরা।
অটো পাসের দাবি তুলেছেন অনেক পরীক্ষার্থী। এ জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন তারা। সোমবারও অটোপাসের দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
এছাড়া নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এইচএসসি ফল প্রকাশের দাবিতে মিছিল নিয়ে হাজারো পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছেন।মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা দুইটার দিকে তারা জিরো পয়েন্টের দিকের সচিবালয়ের গেট দিয়ে হুড়মুড় করে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়েন।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার সভা হওয়ার কথা আছে। শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় অংশ নেবেন। সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তাই এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যায় না।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর পর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।