খেলা

ওমানকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শুভসূচনা

মাঠে নামলে কেউ বড় নয়—তারকায় ঠাসা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার এভাবেই সংবাদ সম্মেলনে হুঙ্কার দিয়েছিলেন ওমান অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস। তবে, মাঠের খেলায় শক্তিমত্তায় যোজন যোজন এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পেরে ওঠেনি ওমানের ক্রিকেটাররা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় টানা দ্বিতীয় পরাজয় দেখল দলটি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৪ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থামে ওমান। ৩৯ রানের জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

১৬৫ রানের মাঝারি সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওমানের। দলীয় ৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দলটি। স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন প্রতীক আথাভালে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। এরপর কাশ্যপ প্রজাপতিকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস। এই জুটিতে যোগ হয় ১৭ রান।

দলীয় ২৩ রানের মাথায় প্রজাপতির বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ওমান। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে মাত্র ৭ রান করেন প্রজাপতি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে থামে ওমান। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আয়ান খান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মার্কাস স্টোয়নিস।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ওপেনার ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় ২০২১ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ১০ বলে ১২ করে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সেই চাপ সামলে অবশ্য মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় অসিরা।

এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৩১ রান। দলীয় ৫০ রানের মাথায় মার্শের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি। ২১ বলে ১৪ করে ফেরেন অধিনায়ক মার্শ। তার বিদায়ের পরের বলেই ফেরেন আরেক ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।

এরপর মার্কাস স্টোয়নিসকে নিয়ে দারুন জুটি গড়ে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন ওয়ার্নার। এই দুইজনের ১০৪ রানের জুটি ভাঙেন কলিমুল্লাহ। ৫১ বলে ৫৬ করে ফেরেন এই ব্যাটার। শেষমেশ ১৬৪ রান তোলে অসিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d