কক্সবাজারচট্টগ্রাম

কক্সবাজার লন্ডভন্ড ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে, দুজনের মৃত্যু

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজার জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে দেয়াল ও গাছ চাপা পড়ে। অন্তত ছয়জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে।

কক্সবাজার লন্ডভন্ড ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে, দুজনের মৃত্যু 1

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। এরপর একটানা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূল এবং আশপাশের অঞ্চল দিয়ে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। একই সঙ্গে শুরু হয় বজ্রবৃষ্টি। রাত ৮টায় কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠে ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার।

জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায় আধা পাকা ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে আবদুল খালেক (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

অন্যদিকে রাত সাড়ে আটটার দিকে মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের কবরস্থান এলাকায় নিজ ঘরের সামনের গাছ চাপা পড়ে মাথায় আঘাত পান হারাধন দে (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া গাছ চাপা পড়ে আহত হওয়া অন্তত ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে আসকর আলী নামের আরেকজন গাছচাপায় মারা গেছেন বলে খবর এলেও বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

মহেশখালীতে প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারে মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি পড়ছিল। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। এ সময় বাতাসের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, সড়কে চলাচল করা ইজিবাইকগুলো উড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের উভয় পাশের ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছোট-বড় সাইনবোর্ড বাতাসের তোড়ে উপড়ে সড়কে পড়ে যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে টিনসহ হালকা পণ্যগুলো উড়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরে যায়। শহরের অনেক উপসড়কেও গাছ ভেঙে পড়ে জন চলাচল বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঝড়ো বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। উপকূলের নৌযান এবং মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে যেতে মানা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d