কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ৫ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ এক
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে নাম বিহীন মাছ ধরার ৫টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালের দিকে জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উত্তাল ঢেউয়ের তোরে ডুবে যায় ট্রলারগুলো।
ট্রলার ডুবির ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর সাগরে ভাসমান অবস্থায় কাছাকাছি থাকা অন্য ট্রলার জেলেদের উদ্ধার করলেও ইমন নামে এক জেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। তার বাড়ি মৌডুবী ইউনিয়নে কেওরালা গ্রামে।
ডুবে যাওয়া টলারগুলো হলো- রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের ওবায়দুল গাজী ও সোহরাফ গাজী, কলাপাড়া উপজেলা পাটুয়া এলাকার রাজ্জাক মাতুব্বর ও শাহিন মাতুব্বর এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া এলাকার উজ্জ্বলের।
মাঝি সোহরাফ গাজী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উত্তাল ঢেউয়ের তোরে ট্রলারটি ডুবে যায়। ভাসমান অবস্থায় এ সময় কাছাকাছি থাকা অন্য ট্রলার তাদের উদ্ধার করলেও ট্রলারটি উদ্ধার করতে পারেনি।
আলীপুর মৎস্য বন্দর ট্রলার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স মনি ফিসের মালিক মো. জলিল মিয়া জানান, মঙ্গল-বুধবার সকালে ট্রলারটি ছেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উত্তাল ঢেউয়ের তোরে পড়ে ট্রলার ডুবে যায় বলে উদ্ধার হওয়া জেলেরা তাকে জানিয়েছেন। এতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন মাঝিরা ট্রলার ও নিখোঁজদের উদ্ধারের খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। উদ্ধার হওয়া জেলেদের বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিখোঁজ জেলে উদ্ধারের বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা জেলে পরিবার ও ট্রলার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সাগরে কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনী নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
মহীপুর মৎস্য বন্দর ট্রলার মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. ফজলু গাজী জানান, ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারেনি উপকূলের সহস্রাধিক মাছ ধরার ট্রলার। এখন তারা অপেক্ষা করছেন অনুকূল আবহাওয়ার জন্য।