গরমে ঘুমন্ত রিকশাচালকের রিকশা চুরি ঠেকাতে বুদ্ধি
নীলফামারী: প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষের জীবন। বিশেষ করে রাস্তায় অবস্থান নেওয়া ট্রাফিক পুলিশ ও রিকশাচালকদের অবস্থা হয় বর্ণনাতীত। তাইতো সুযোগ পেলেই গাছের সুশীতল ছায়া পেলেই রিকশাটি পাশে দাড় করিয়ে একটু জিরিয়ে নিতে দেখা যায় রিকশাচালকদের।
তবে এখানেও বিপত্তি, যদি তার ঘুমন্ত অবস্থায় রিকশাটি চুরি হয়ে যায়, তবে তো জীবিকা নির্বাহের উপকরণটিই হারিয়ে পথে বসতে হবে! অবশ্য সেই ভাবনায় দারুণ এক বুদ্ধি এঁটে ঘুমাতে দেখা গেল এক রিকশাচালককে। রিকশা চুরির ভয়ে প্যাডেলের ওপরে ফ্রেমের ভেতর দিয়ে পা ঢুকিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। যাতে তার কষ্টের রিকশাটি চোরেরা নিয়ে না যায়।
জানা গেছে, রিকশায় এভাবে পা গলিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমানো রিকশাচালকের নাম সাবের আলী (৫৮)। শহরের শহরের সাহেবপাড়ায় রিকশা চালান তিনি। পরিবারের পাঁচ সদস্যের ভরণপোষণ জোটাতে রিকশাটি নিজের টাকায় কিনে চালাচ্ছেন তিনি।
সব সময় ভয়ে থাকেন রিকশাটি চুরি গেলে খাবেন কী? তাই শরীর ক্লান্ত তবুও রিকশাটাকে এভাবে আগলে রেখেছেন। যেন কোনোভাবেই তার রিকশাটি চুরি না যায়।
এদিকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমানের ডাকবাংলোর সামনে তোলা ছবিটি মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইদানীং শহরে ব্যাপকহারে ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যান চুরি যাচ্ছে।
অপরদিকে যে প্রাচীন রেলের গাছগুলো সুশীতল ছায়া দিচ্ছে সেগুলোর বয়স দেড়শ থেকে দুইশো বছর হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বনবিভাগ ১৬টি পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কাটার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবুও কাটা হচ্ছে না সেসব গাছ। এতে করে পথচারীরা ঝুঁকিতে চলাচল করছে।