গাজায় গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন
গাজায় গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মরদেহের নমুনা দেখে বৃহস্পতিবার এমনটাই ধারণা করছেন ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সদস্য মোহাম্মদ মুগির।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সদস্য মোহাম্মদ মুগির বলেছেন, গণকবর থেকে অন্তত ১০টি মরদেহ হাত বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদেরকে বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামসহ মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
মোহাম্মদ মুগির মনে করছেন, সম্ভবত তাদেরকে জীবন্ত অবস্থায় গণকবর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অন্তত ২০টি মরদেহের ময়নাতদন্ত করা দরকার। কারণ আমাদের মনে হচ্ছে তাদেরকে জীবন্ত দাফন করা হয়েছে।
এদিকে, খান ইউনিসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান ইয়েমেন আবু সোলায়মান জানিয়েছেন, গাজার গণকবর থেকে ৩৯২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মরদেহে মধ্যে মাত্র ৬৫টির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৮৫ শতাংশ মরদেহই অজ্ঞাত।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের এক মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, নাসের হাসপাতাল প্রাঙ্গন থেকে পাওয়া মরদেহের বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের সত্যতা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন তারা। নিহতদের মাটির গভীরে পুঁতে রাখা হয়েছে এবং বর্জ্য দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিলো বলে জানান তিনি।
এসব মৃত্যুর বিষয়ে স্বাধীন, কার্যকর ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের প্রধান ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
গত ফেব্রুয়ারিতে খান ইউনিসের আল-শিফা ও নাসের হাসপাতালে দুই সপ্তাহ ধরে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। সেসময় এই মরদেহগুলো সেখানে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ইসরাইলি বাহিনী সেখানে কোনো মরদেহ মাটিচাপা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।