আন্তর্জাতিক

গাজায় লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে, জরুরি যুদ্ধি বিরতি দরকার: জাতিসংঘ

গাজায় মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইসরায়েলের বিরতিহীন হামলার কারণে গাজায় লক্ষাধিক মানুষের জীবন মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে এখন দ্রুতই যুদ্ধবিরতি দরকার। খবর আরব নিউজ

সোমবার (৩১ অক্টোবর) জাতিসংঘের এজেন্সি প্রধান এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মানবিক পরিস্থিতির চরম অবস্থা তুলে ধরা হয়। এ সময় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্যাতন এবং তাদের জোড় পূর্বক বাস্তুচ্যুতের জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তা ফিলিপ লাজারিনি সতর্ক করে বলেন, ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় জাতিসংঘের ত্রাণ গুদামে লুটপাট চালিয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে গাজায় আমাদের কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।

গত ২৩ দিন ধরে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালানোর কারণে মানবিক পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন লাজারিনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ নারী ও শিশু। হামলায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা এ তথ্যও তুলে ধরেন।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ইসরায়েলের হামলা ৩ হাজার ৪০০ জন শিশু নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৬ হাজার ৩০০ জন। অর্থাৎ গাজায় প্রতিদিনি ৪২০ জনের বেশি শিশু আহত অথবা নিহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আমাদের মানবিকতাকে নাড়া দিচ্ছে।

ওই বৈঠকে জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তা গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার নিন্দা করেছেন। এছাড়া জিম্মি ২৩০ জনে মুক্তি দিতে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলকে বেসামরিক মানুষদের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধের সময়ে হাসাপাতাল, স্কুল এবং অন্যান্য স্থাপনায় হামলা না চালানোর নিয়ম রয়েছে। এছাড়া খাদ্য, পানি এবং জ্বালানি ও মেডিকেল সুবিধা বন্ধ না করারও কঠোর নীতি রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল এর কিছুই মানছে না।

জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রমের কমিশনার জেনারেল বলেন, গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই। এছাড়া জরুরি সেবা- ওষুধ, পানি, খাদ্য এবং জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d