গাজার হাসপাতালগুলো যেন একেকটি মর্গ
ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে জ্বালানি সঙ্কটে পড়েছে গাজা উপত্যকা। বন্ধ হয়ে গেছে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ফলে অঞ্চলটি এখন পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোর নিয়মিত কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ ছাড়া চিকিৎসার যন্ত্রপাতি হয়ে পড়েছে অকেজো। হাসপাতালগুলো যেন মর্গে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক দাতব্য এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ইসরায়েলের অবরোধের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বানও জানিয়েছে তারা। খবর আল জাজিরার।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে দুই দেশের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের। প্রতিনিয়ত প্রাণহানির সংখ্যার এমন বৃদ্ধিকে ঘৃণ্য বলে অভিহিত করছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। বেসামরিক ব্যক্তিদের দুর্ভোগ কমাতে ইসরায়েল ও হামাসের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে আইসিআরসির মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক প্রধান ফ্যাব্রিজিও কার্বোনি এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় বিদ্যুৎ সঙ্কটে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। বয়স্ক রোগীরা অক্সিজেন ঝুঁকিতে আছে, নবজাতকদের চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে। কিডনি ডায়ালাইসিস বন্ধ হয়ে গেছে, এক্স-রে হচ্ছে না। হাসপাতালগুলো ধীরে ধীরে মর্গে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজার পরিবারগুলো নিরাপদ পানিও পাচ্ছে না এখন। বাবা-মায়েরা শিশুদের নোংরা পানি দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ যুদ্ধে আইসিআরসির চার কর্মীর প্রাণহানির কথাও জানান তিনি।
গাজার আল-শিফা হাসপাতালের একজন প্রতিনিধি বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনে ভুক্তভোগী হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকরা। সহায়তার জন্য বৈশ্বিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
জ্বালানি শেষ হওয়ার ঘোষণার পর তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমরা ভুগছি, তবে এ বিষয়ে বিশ্বের একটি আঙুলও নড়ছে না। আপনাদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। এটা সমগ্র বিশ্বের জন্য হুমকি।