গ্রেপ্তারের পর ৩ কেএনএফ সদস্য জেলে
রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে তোলার পর জেলে পাঠিয়েছেন বিচারক।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারদের বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার তাদের জেলে পাঠাতে নির্দেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) রুমা থানায় দায়ের করা মামলার আসামি উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গড গলরী বম (৩১), সাং খুম বম (৩৮), ও জেফানিয়া বমকে (১৯) গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রুমা থানায় দায়ের করা মামলায় তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমায় শাখায় হামলা, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুট; ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। দুই ঘটনায় রুমা থানায় ১৪, থানচি থানায় চার, বান্দরবান সদর থানায় ১ ও রোয়াংছড়ি থানায় তিনটিসহ মোট ২২ মামলা দায়ের হয়।
এসব মামলায় আসামিদের ধরতে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। অভিযানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসারের সঙ্গে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী। চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত কেএনএফের সর্বমোট ১০৮ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।