কক্সবাজারচট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংস্কারে ধীরগতি, তীব্র যানজট

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দক্ষিণ চট্টগ্রাম অংশে প্রশস্ত বৃদ্ধি ও সংস্কারের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সংস্কারকাজের জন্য কিছু এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এতে যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বিভিন্ন গাড়ির চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কের লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে যানজট এত দীর্ঘ যে মাত্র এক ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টা পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে। সড়ক সংস্কারে ধীরগতির কারণে যানজট বাড়ছে বলেও দাবি তাদের।

এতে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বের হওয়া লোকজনের কর্মঘন্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শন, যাত্রী ও গাড়ি চালকের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, বেশ কেয়েকটি স্থানে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলমান আছে, এটাই যানজটের প্রধান কারণ।

শনিবার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, লোহাগাড়ার আধুনগর বাজার, আমিরাবাদ মোটর স্টেশন, তেওয়ারী হাট, ঠাকুরদিঘী বাজার, সাতকানিয়ার কেরানীহাট, মৌলভীর দোকান, বিওসির মোড়, চন্দনাইশের দোহাজারী, দেওয়ানহাট, কসাই পাড়া, বাগিছারহাট, গাছবাড়িয়া, খান হাট, বাদামতল ও রৌশন হাট এলাকায় শত শত যানবাহন যানজটের কবলে পড়ে আটকে আছে।

এর মধ্যে লোহাগাড়ার আধুনগর বাজার, আমিরাবাদ মোটর স্টেশন, তেওয়ারী হাট, ঠাকুরদিঘী বাজার, সাতকানিয়ার কেরানীহাট, মৌলভীর দোকান এলাকায় সড়কের উপর বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা, যত্রতত্র যাত্রী উঠা-নামা ও সড়কের পাশ দখল করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে সড়ক দখলে রাখার কারণে যানজট হচ্ছে।

এছাড়া সাতকানিয়ার বিওসির মোড়, চন্দনাইশের দোহাজারী, দেওয়ানহাট, কসাই পাড়া, বাগিছার হাট, গাছবাড়িয়া, খান হাট, বাদামতল ও রৌশন হাট এলাকায় সডক সম্প্রসারণের কাজের অংশ হিসেবে সড়কের এক পাশ বন্ধ করে রাখাসহ সংস্কার কাজ চলমান থাকায় যানজটের মাত্রা বেড়েছে।

এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী পূর্বানীর এসি বাসের চালক আসহাব মিয়া জানান, এক মাস আগে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। তখন থেকে যানজটের মাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। যানজটের কবলে পড়ে মানুষের শ্রমঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় গাড়ির শিডিউলও বিপর্যয় হচ্ছে।

কেরানীহাট মা-শিশু জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মোহাম্মদ আরিফ জানান, অনেক সময় রোগী নিয়ে দ্রুত চমেক হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু দক্ষিণ চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভয়াবহ যানজটের কারণে অ্যাম্বুলেন্সেই রোগী মারা যায়।

এ বিষয়ে কথা হয় দোহাজারী সডক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহের সাথে। তিনি বলেন, আমরা যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সড়কের প্রস্ত বৃদ্ধির কাজ করছি। কাজ শেষ হলে যানজট কমার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও কমে আসবে।

দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি খান মোহাম্মদ এরফান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আমাদের নিয়ন্ত্রিত অংশে যানজটের বেশ কয়েকটি কারণ আমরা পেয়েছি। যানজট নিরসনের জন্য কাজ চলছে। এখন সড়কের প্রস্ত বৃদ্ধির কাজ চলমান থাকার কারণে যানজট বেড়েছে। এটি দ্রুত সময়ে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d