চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ষাটোর্ধ্ব কর্মচারীকে চড় মারার অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষাটোর্ধ্ব এক কর্মচারীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম ইসহাক আলম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপমুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক। ভুক্তভোগী কর্মচারীর নাম আহমদ সৈয়দ। তিনি নিজেকে শাহজালাল হলের জ্যেষ্ঠ হল সুপারভাইজার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহমদ সৈয়দ প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস–সংকটের কারণে হলের ডাইনিংয়ে মাঝেমধ্যে রান্না করায় সমস্যা হয়। এ কারণে তিনি আগেভাগে বিভিন্ন গাছ থেকে ডাল কেটে লাকড়ি সংগ্রহ করছিলেন। তবে সোমবার ছাত্রলীগের কয়েকজন এসব ডালপালা নিয়ে যেতে চান৷ তাঁরা এসব ডালপালা আশপাশের দোকানে বিক্রি করবেন। তিনি এতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। এর মধ্যে ইসহাক আলম (ফরহাদ) নামের একজন তাঁর গালে চড় দিয়েছেন।
আহমদ সৈয়দ বলেন, তাঁর বয়স ৬০ বছর। আগামী জুনে তিনি অবসরে যাবেন। ৩৪ বছরের চাকরিজীবনে কখনো এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হননি। তিনি এর বিচার চান।
হল প্রাধ্যক্ষ অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকায় অভিযোগ দিতে পারেননি আহমদ সৈয়দ। তবে মৌখিকভাবে অনেককে বিষয়টি জানিয়েছেন।
চড় দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ইসহাক আলমের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসহাক আলমের বিরুদ্ধে এ ধরনের মারধরের অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সময়মতো খাবার পরিবেশন না করায় এক দোকানদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ঝুপড়ির এক খাবারের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ইসহাকের বিচার চেয়ে ওই দিন ঝুপড়ি এলাকার ১২টি দোকান বন্ধ রেখেছিলেন দোকানদারেরা।