চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী

চট্টগ্রামে সব সরকারি অফিস, আদালত ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও উন্নয়ন নিদর্শন সমূহের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এতে অংশ নেবেন বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্লস গাইড, রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। আগামীকাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের কাজ শুরু করবেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান জেলা প্রশাসক আবুল মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় রোভার স্কাউটস লিডার প্রতিনিধি প্রফেসর ফজুলুল কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা রোভার ট্রেজারার রুবেল আমিন খান, চট্টগ্রাম জেলা রোভার স্কাউটস এর সম্পাদক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, গার্লস গাইডের আঞ্চলিক কমিশনার প্রফেসর রিতা দত্ত, চট্টগ্রাম জেলা রোভার স্কাউটস এর ডিআরএসএল এস এম হাবিবুল্লাহ হিরু, বিএনসিসি প্রতিনিধি হিসেবে সার্জেন্ট মামুন, বিএনসিসি সকারি সিটি কলেজের আবু নাসির, সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক।

মতবিনিময় সভায় প্রত্যেক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসক। এসময় প্রতিনিধিরা স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় তাদের সর্বোচবচ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের অফিস-আদালত, সরকারি দপ্তর, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। এগুলো আমাদের দেশের সম্পদ, দশের সম্পদ। কাজেই এগুলো রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

সভায় তিনি আরও বলেন, আমাদের পাঁচটি বিষয়ে আজ ৫ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গ্রাফিতি ও ক্যালিওগ্রাফি, ট্রাফিক, নিরাপত্তা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, হাসপাতাল। শিক্ষার্থীরা শহরের দেয়ালে দেয়ালে যে গ্রাফিতি কাজ চালাচ্ছেন সেটি আমাদের শহরকে সুন্দর করছেন। তারা এই বিপ্লবের স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখছেন। দেশের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে তুলে ধরছেন। আমাদের এই পাঁচ কমিটি তাদের সেই কাজে সমন্বয় করবে। নির্দিষ্ট একটি অংশ প্রতিদিন সেই কাজে যোগ দেবে।

এরপর ট্রাফিকে একটি অংশ থাকবে। কোন সংগঠন থেকে কে থাকবে এবং কতজন থাকবে সেটি ঠিক করবে। নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসন অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, আদালত ভবন, বিচারকদের এলাকাগুলো নিরাপত্তায় আনা হবে। এছাড়া টানেল, বিমানবন্দর, বন্দর, কাস্টমস, উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ সবকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তারা দেখবে। পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো দেখবে। এর সঙ্গে আমাদের থানা, উপজেলাসহ সব স্থাপনায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হবে। আর সর্বশেষ হাসপাতালে সেবা দেওয়া হবে। অ্যাম্বুলেন্স করে রোগীদের পাঠানো, চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এসব কাজে জেলা ও মহানগরে প্রায় দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে।

এর মধ্যে শহরের থানাগুলোতে ১২৮ জন, আদালতে ৩০ জন, সিটি করপোরেশনে ১০ জন, অন্যান্য ৩২জনসহ মোট ২০০ জন। আর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় ২৬০ জন, গ্রাফিতিতে ৬০ জন কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d