চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বাড়ছে জনসংখ্যা

চট্টগ্রামে মোট জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। ২০১১ সালে চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ছিল ৭৬ লাখ ১৬ হাজার জন।

সেই হিসেবে গত ১৩ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬৫ জন। ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদনে ওঠে আসে এ তথ্য।

২০২২ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে পল্লী অঞ্চলের জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ২৪৯ জন এবং শহর অঞ্চলে জনসংখ্যা ছিল ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৬ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করেন ১ হাজার ৭৩৬ জন। ২০১১ সালে ছিল ১ হাজার ৪৪২ জন। জেলায় জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০১১ সালে এ হার ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

চট্টগ্রামে মুসলিম জনসংখ্যা ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, হিন্দু জনসংখ্যা ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, বৌদ্ধ জনসংখ্যা ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, খ্রিষ্টান জনসংখ্যা ০ দশমিক ০৯ শতাংশ, অন্যান্য দশমিক ০৩ শতাংশ। চট্টগ্রামে পুরুষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ১১৩ জন এবং নারীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৬ জন।

শহর এলাকায় বসবাস করেন ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৬ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস করেন ৩২ লাখ ৩০ হাজার ২৬২ জন। গ্রামাঞ্চলে বাস করেন ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ২৪৯ জন। বস্তিতে বাস করে ৩ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিটি করপোরেশন এলাকায় থাকে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮২৫ জন। ভাসমান ২ হাজার ১৬২ জন। জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ আছে ৪৮ হাজার ২৪৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৫ হাজার ১৬৫ জন এবং নারী ২৩ হাজার ৮০ জন।

চট্টগ্রাম থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৮ হাজার বিদেশে অবস্থান করছেন। বিদেশ থেকে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরেছেন ৩০ হাজার ৪৪৫ জন প্রবাসী।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে দেখা যায়, জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামীণ নারীদের তুলনায় শহরের নারীদের মধ্যে সনাতন পদ্ধতি ব্যবহারের অনুপাত ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি। প্রশাসনিক বিভাগ বিবেচনায় চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দাদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d