চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে সড়কের বাইরে ফ্লাইওভার র্যাম্প চায় ট্রাফিক বিভাগ
চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে সড়কের বাইরে ফ্লাইওভার র্যাম্প চায় ট্রাফিক বিভাগ
নগরের লালখান বাজার হতে শাহ্ আমানত বিমান বন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে জিইসি মোড়ে ফ্লাইওভারে উঠার মুখ নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ট্রাফিক উত্তর বিভাগের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্ত্বে নগরের সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগ হ্রাসকল্পে জিইসি মোড়ে ফ্লাইওভার উঠার মুখ নির্মাণ সংক্রান্তে বিভিন্ন দিক নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
সভায় আলোচ্য বিষয়গুলো সামনে রেখে প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে ট্রাফিক বিভাগকে প্রকল্প পরিচালকরা আশ্বস্ত করেন।
এছাড়া প্রকল্পের প্রতিনিধিরা ট্রাফিক বিভাগের এ রকম আয়োজনকে স্বাগত জানান। ভবিষ্যতেও তারা চট্টগ্রাম নগরের যেকোন ট্রাফিক সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কর্মকান্ড সম্পাদনের ক্ষেত্রে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত উল্লাহ, ম্যাক্সের ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমান, ট্রাফিক বিভাগের এডিসি কীর্তিমান চাকমা, এসি আসিফ মাহমুদ গালিব, টিআই (প্রশাসন) মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রমুখ।
সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়নুল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরের মূল সড়কে যেকোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে ট্রাফিক বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজটা শুরু করে। এর ফলে নগরবাসী উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে৷ কর্তৃপক্ষ আজ আমাদের সঙ্গে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে বসেছে। বিষয়টা নগরবাসীর জন্য স্বস্তির। ট্রাফিক পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে আমরা তাদের কাজের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু অবজারভেশন দিয়েছি। তারা সেটি গ্রহণ করেছে। আমরা বলেছি নির্মিতব্য জিইসি সংলগ্ন ফ্লাইওভারে ওঠার পথটি অবশ্যই সড়কের বাইরে একপাশ থেকে হতে হবে। এতে সড়কে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটবে না। এটি করা না হলে গোটা জিইসি মোড় তথা দুই নাম্বার গেইট পর্যন্ত যানজট বৃদ্ধি পাবে। তারা বিদ্যমান ডিজাইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী সম্পন্ন করে কাজটি শুরু করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।