চট্টগ্রামস্বাস্থ্য

চমেক : এক সপ্তাহে দ্বিগুণ শিশুরোগী

নয় মাসের শিশু মো. শামীম হোসেন। গত তিন মাস ধরে ভুগছে পুষ্টিহীনতায়। এর মধ্যে তাঁর ছোট্ট শরীরে বাসা বেঁধেছে নিউমোনিয়া। শরীরের অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ২২ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুটি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে থেকে তিনদিন আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে চমেক হাসপাতালে আনা হয় সাত মাস বয়সী শিশু শিল্পাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

চিকিৎসকদের মতে, দিনে হালকা গরম কিন্তু রাতে কুয়াশামাখা ঠান্ডা পড়ায় শিশুরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের সময় বাতাসে ধুলোবালু বেড়ে যায়। এ কারণে ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্টের শিশুরোগীও ভর্তি হচ্ছে বেশি।

হাসপাতালে সরেজমিন দেখা যায়, শিশুরোগীতে কানায় কানায় পূর্ণ ৯ নম্বর শিশুওয়ার্ড। তবে এর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীই বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুরোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। হাসপাতালের বহির্বিভাগেও চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের প্রায় ৪৫ শতাংশই নবজাতক ও শিশু। প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন শিশু চমেক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

এ বিষয়ে শিশুওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের বেশিরভাগই নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ফুসফুস ভাইরাস ও ছত্রাকের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই অভিভাবকের প্রতি পরামর্শ শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখামাত্রই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।’

এছাড়া ডেঙ্গু বর্ষাকালীন রোগ হলেও এই শীতের সময়ে প্রতিদিনই দুই-একজন করে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ সময় মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগসহ নানা ভাইরাস জ্বরের রোগের প্রকোপ দেখা যায়। তাই মশার কামড়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d