টানেল উদ্বোধন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে চীনা প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা বার্তা
চীন ও বাংলাদেশ সরকারের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাফল্য অর্জনে বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে কেইপিজেড মাঠে টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর হাতে শুভেচ্ছা বার্তাটি তুলে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।এর আগে, রাষ্ট্রদূত সেটি পাঠ করে শোনান। বাংলায় অনুবাদ করে সেটি উপস্থাপন করেন সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন।
বার্তায় শি জিনপিং প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানাই। টানেলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের এই শুভক্ষণে আপনাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।’
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চীন ও বাংলাদেশের মধ্যাকার উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার সাক্ষর বহনকারী একটি প্রকল্প এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক লাভজনক সহযোগিতার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত। আমি বিশ্বাস করি যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল স্থানীয় ট্রাফিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাবে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব সম্পর্কের উন্নয়নে আমি অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। আমাদের দুই দেশের প্রবীণ প্রজন্মের নেতা কর্তৃক স্থাপিত সুগভীর বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক, যাতে দু’দেশের জনগণের আরও কল্যাণ মিলবে।’
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দুপুর ১২টায় টানেলের প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই আনোয়ারায় জনসমাবেশে যোগ দিয়ে ৫২৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন আরও ৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও ৫০ টাকা মূল্যমানের ৫০ টাকার স্মারক নোট উন্মোচন করা হয়।