জাতীয়

টিয়ারশেলের আঘাতে নয়, সাংবাদিক রফিকের মৃত্যু স্ট্রোকে

পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে নয়, স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার। এতথ্য জানিয়েছে তার কন্যা উর্মি ভূঁইয়া বলেন, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে (স্ট্রোক) মারা গেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রফিক।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উর্মি বলেন, রিকশা করে যাওয়ার পথে আমার বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে রিকশা থেকে পড়ে যান। এরপর তার ব্রেইন ডেড হয়ে যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। স্ট্রোক করার কারণে ব্যাল্যান্স রাখতে না পেরে, রিকশা থেকে পড়ে যান তিনি। আর, তখন মাথার পেছনে ব্যথা পাওয়ায় ইন্টার্নাল ব্লিডিং হয়েছে।

বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে টিয়ারশেলে মৃত্যু নিয়ে যেসব তথ্য প্রচারিত হচ্ছে সেগুলো নিয়ে আপত্তি তুলে ঊর্মি বলেন, এ ধরনের খবর একেবারেই মিথ্যা। যদি টিয়ারশেলের আঘাতে আমার বাবা মারা যেতেন, তাহলে আমরাই জিডি করতাম বা অভিযোগ করতাম। কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা এগুলো করিনি। আমরা কিছু না বললেও কিছু মানুষ এই ঘটনায় নানান রং মিশিয়ে বিভিন্নভাবে প্রচার করছে।

উর্মি বলেন, মানুষ আসলে বিভিন্ন রকম রং দিচ্ছে। আমার বাবা একজন একজন সহজ সরল ব্যক্তি, উনাকে নিয়ে যদি এটা করা খুবই দুঃখজনক। আমার বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এর জন্য তিনি কোনো সুযোগ নেননি। এখন তিনি বলতেন- কেউ মায়ের জন্য কিছু করলে সুবিধা নেয় নাকি? দেশের জন্য যুদ্ধ করছেন, সুযোগ-সুবিধার জন্য নয়।

এখন তাকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত টানাটানি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই মানুষটাকে নিয়ে যারা এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে তাদেরকে থামতেও অনুরোধ করেছেন সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মেয়ে।

শনিবার প্রেসক্লাবে যাওয়ার পথে সেগুনবাগিচায় রিকশা থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পান রফিক ভূঁইয়া। পরে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান।

রফিক ভূঁইয়া ১৯৫১ সালের ১০ জানুয়ারি ফেনীর দাগনভূঞায় জন্মগ্রহণ করেন। নিহত রফিক ভূঁইয়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাপ্তাহিক নতুন কাগজ–এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি চার ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d