টেকনাফ বন্দরে মিয়ানমারের পণ্যবাহী জাহাজ আসা শুরু
টানা সাতদিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী নৌযান টেকনাফ স্থলবন্দরে ভিড়তে শুরু করেছে। রাখাইনের সিটওয়ে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা আমদানি পণ্যবোঝাই সাতটি নৌযান রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নাফ নদীতে অবস্থান করা সাতটি নৌযান থেকে মালামাল খালাস করছেন কয়েক শ’ শ্রমিক। আমদানি পণ্য খালাসের পর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাঠানোর উদ্দেশে ট্রাকে বোঝাই করা হচ্ছে। এসব নৌযানে আসা পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, কাঠ, আদা, নারকেল, শুঁটকি, শুকনা সুপারি ও আচার। দুটি নৌযানে কাঠ, আদা, আচার, শুঁটকি, সুপারি ও নারকেল আমদানি করেছেন টেকনাফের ব্যবসায়ী ও মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে এসব পণ্য রোজার আগে টেকনাফে আসবে কিনা, তা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা ছিল। অবশেষে আমদানি পণ্য ভর্তি নৌযান পৌঁছার কারণে চিন্তামুক্ত হয়েছি।
মেসার্স সামা এন্টারপ্রাইজ নামের আরেকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ কায়সার বলেন, পণ্যবোঝাই সাতটি নৌযানের দুটিতে রুই, কাতলাসহ হিমায়িত মাছ রয়েছে। এভাবে আমদানি অব্যাহত রাখা গেলে দেশের বাজারে পবিত্র রমজান মাসে হিমায়িত মাছের সংকট কিছুটা দূর হবে।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, সিটওয়ের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় আমদানি পণ্য বোঝাই নৌযানগুলো টেকনাফ স্থলবন্দরে আসতে শুরু করেছে।
স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগের কাস্টমস সুপার বিএম আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, রমজান মাস উপলক্ষ্যে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ, ছোলা, আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। গত সাতদিন আমদানি বন্ধ থাকায় সরকার প্রায় ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।